যে পত্রিকার প্রথম সংখ্যায় ছিল মেরিলিন মুনরোর মতো লাস্যময়ী অভিনেত্রীর ছবি, সেখানেই এ বার প্রথম দেখা গেল এক সমকামী পুরুষ তারকাকে।
পুরুষদের জন্য পত্রিকা। বিষয় মূলত জীবনধারা। আমেরিকায় এই ‘প্লেবয়’-এর প্রচ্ছদ নিয়ে হইচই হয়েই থাকে। নামী-দামি সুন্দরীদের ছবি থাকে যে প্রচ্ছদ জুড়ে। যৌন আবেদন ঝরে পড়ে সে সব ছবি থেকে। এ বার ছক ভেঙেছে সেই প্লেবয়। যৌনতার কথা বলেছে অন্য ভাবে।
যে পত্রিকার প্রথম সংখ্যায় ছিল মেরিলিন মুনরোর মতো লাস্যময়ী অভিনেত্রীর ছবি, সেখানেই এ বার প্রথম দেখা গেল এক সমকামী পুরুষ তারকাকে। নাম বার্টম্যান রক। বছর তেইশের বার্টম্যানের খ্যাতির উৎস নেটমাধ্যম। সেখান থেকেই তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে আমেরিকার বিনোদন জগতে। মূলত সাজগোজ নিয়েই কথা বলেন তিনি।
লজিবিটিকিউআইএ গোষ্ঠীর সকলের কাছেই প্লেবয়ের এই উদ্যোগ উচ্ছ্বাসের কারণ হয়ে গিয়েছে।
এর আগে মাত্র বার দুয়েক কোনও পুরুষের মুখ দেখা গিয়েছে প্লেবয়ের প্রচ্ছদে। ফলে বার্টম্যানের ছবি নিয়ে হইচই শুরু হতই। তার উপর আবার নিজের যৌনতা সম্পর্কেও খোলামেলা এই তারকা। তিনি সমকামী। ফলে এলজিবিটিকিউআইএ গোষ্ঠীর সকলের কাছেই প্লেবয়ের এই উদ্যোগ উচ্ছ্বাসের কারণ হয়ে গিয়েছে। বার্টম্যান নিজেও সে কথা প্রকাশ করেছেন ইনস্টাগ্রামের পাতায়। তাঁর বাড়ি ফিলিপিন্সে। ফলে তিনি শ্বেতাঙ্গও নন। তাঁর মতো এক জন সমকামী পুরুষের কাছে প্লেবয়ের প্রচ্ছদে জায়গা করে নেওয়া যে আসলে অনেকের জন্যই গর্বের বিষয়, সে কথাই জানিয়েছেন বার্টম্যান।
৬৬ বছরের পুরনো এই পত্রিকা ২০২০ সাল থেকে পাকাপাকি ভাবে অনলাইন হয়ে গিয়েছে। এই ছবিও তাই দেখা যাচ্ছে প্লেবয়ের ডিজিটাল সংস্করণেই। সেই ছবিতে বার্টম্যানকে দেখা গেল, প্লেবয়ের বিখ্যাত কিছু সাজের অনুষঙ্গ ব্যবহার করতে। আগে বো টাই, কাফ এবং বানি ইয়ার পরে এই পত্রিকার জন্য ছবি তুলেছেন কেট মস, ডলি পার্টনের মতো তারকারা। তেমনই সব সাজে বার্টম্যানের ছবি যে সাধারণের যৌনতার ধারণায় রীতিমতো বিপ্লব ঘটাল, তা বলে দিচ্ছে তাঁর ছবি।