বেঙ্গালুরুর বেলান্দুর এলাকায় কুমকুমের লেবুর রসের দোকান। ছবি: সংগৃহীত।
ইউটিউবার হওয়ার ইচ্ছা এখন অনেকেরই। স্বাধীন ভাবে পছন্দমতো কাজ করার অন্যতম একটি প্ল্যাটফর্ম হল ইউটিউব। এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা অন্য কাজের পাশাপাশি ইউটিউব চ্যানেলও চালান। বেঙ্গালুরুর কুমকুম মৃধা তেমনই এক জন। কুমকুম চাকরি কিংবা বড় কোনও ব্যবসা করেন না। রাস্তার ধারে ছোট্ট একটি অস্থায়ী দোকানে লেবুর রস বিক্রি করেন। সম্প্রতি এক ব্যক্তি তাঁর টুইটারের পাতায় কুমকুমের কথা লিখেছেন। দোকানে লেবুর রস খেতে গিয়েই কুমকুম যে এক জন ইউটিউবার, তা আবিষ্কার করেন তিনি।
বেঙ্গালুরুর বেলান্দুর এলাকায় কুমকুমের লেবুর রসের দোকান। প্রতি গ্লাস শরবতের দাম ৪০ টাকা। পকেটে নগদ টাকা না থাকলেও অসুবিধা নেই। অনলাইনে টাকা দেওয়ার সুবিধা রয়েছে। দোকানের গায়ে সাঁটা রয়েছে বিভিন্ন সংস্থার অনলাইনে টাকা লেনদেন অ্যাপের স্ক্যানার। সেখানে স্ক্যান করে টাকা দেওয়া যাবে। ঠিক তার পাশেই রয়েছে আরও একটি পোস্টার। সেখানেই রয়েছে কুমকুমের ইউটিউব চ্যানেলের স্ক্যানার। স্ক্যান করলেই কুমকুমের ইউটিউবের চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার হওয়া যাবে। এখনও পর্যন্ত কুমকুমের ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা দু'হাজার।
চ্যানেলটি মূলত রান্নার। কুমকুম নিজে খুব ভাল রান্না করেন। রান্না করার ভি়ডিয়োগুলি এখানে ভাগ করে নেন। সেই সঙ্গে নানা ধরনের শরবত তৈরি করতেও শেখান তিনি। শরবতের দোকান থেকে যা আয় হয়, তা দিয়ে টেনেটুনে সংসার চলে যায় তাঁর। কয়েক মাস আগেই ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন তিনি। নিজের চ্যানেল তৈরির আগে কাজের ফাঁকে ইউটিউবই দেখতেন। তার পর নিজেই একটি চ্যানেল খুলবেন বলে ঠিক করেছিলেন। কুমকুমের কথায়, ‘‘আমি চাই আমার ইউটিউব চ্যানেলের কয়েক লক্ষ দর্শক হোক। আপাতত রান্নার ভিডিয়ো দিচ্ছি। এর পর আরও নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ভিডিয়ো বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে। তবে দোকান সামলিয়েই পুরোটা করব।’’