ঘুমোতে যাওয়ার আগে বই পড়েন না কি ঘুম থেকে উঠে? ছবি: সংগৃহীত।
ফোন না ঘেঁটে বই পড়ার অভ্যাস করতে বলা হয় ছোট থেকে বড় সকলকেই। পড়াশোনা করলে যে শুধু জ্ঞানের পরিধি বিস্তৃত হয়, তা নয়। মানসিক চাপও বশে থাকে। তাই ঘুমোতে যাওয়ার আগে হাতে বই নিয়ে দু’-এক পাতা পড়ে নেওয়ার অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। আবার, বাসে-ট্রেনে যাতায়াতের পথে সময় বাঁচিয়েও বই পড়েন অনেকে। তবে, ঠিক কোন সময়ে বই পড়লে মন বা শরীরের উন্নতি হবে, সে সম্পর্কে জেনে রাখা প্রয়োজন।
ঘুমোনোর আগে বই পড়লে কী লাভ হবে?
১) সারা দিনের ব্যস্ততার শেষে শারীরিক এবং মানসিক ক্লেদ ধুয়েমুছে ফেলতে সাহায্য করতে পারে বই। বিভিন্ন গবেষণায় বলা হয়েছে, ঘুমোতে যাওয়ার আগে নিয়মিত বই পড়লে মানসিক চাপ কমে যেতে পারে প্রায় ৬৮ শতাংশ। মস্তিষ্কের স্নায়ু শিথিল করতে সাহায্য করে পছন্দসই বই পড়া। যে কারণে অনিদ্রাজনিত সমস্যাতেও আরাম মেলে।
২) বেশি ঘুমের তুলনায় ভাল ঘুম হওয়া জরুরি। চিকিৎসকেরা সেই দিকেই জোর দেন বেশি। মোবাইল থেকে নির্গত ‘ব্লু লাইট’ ঘুম আনতে সহায়ক হরমোন বা ‘মেলাটোনিন’ উৎপাদনের হার কমিয়ে দেয়। ফলে ঘুমের স্বাভাবিক চক্র ব্যাহত হয়। তবে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ভাল একটা বই চোখের সামনে ধরলে কিন্তু কিছু ক্ষণের মধ্যেই দু’চোখের পাতায় ঘুম নেমে আসতে পারে।
৩) যুক্তিসম্মত, ক্ষুরধার চিন্তাভাবনা থেকে জটিল অঙ্কের সহজ সমাধান— সবই হয় মস্তিষ্কের পরিচালনায়। নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাসে মস্তিষ্ক আরও শানিত হয়। স্মৃতিশক্তিও প্রখর হয়ে ওঠে।
ঘুম থেকে ওঠার আগে বই পড়লে কী লাভ হবে?
১) কর্মদক্ষতা এবং একাগ্রতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে বই পড়ার অভ্যাস। তবে ঘুম থেকে উঠেই এমন কোনও বিষয়ে পড়াশোনা করা যাবে না, যা মস্তিষ্কের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
২) সকালে উঠে পড়াশোনা করলে তা আত্মস্থ করাও সহজ হয়। সকালের দিকে মন শান্ত থাকে। সে কারণেই শিশুদের সকাল সকাল পড়াতে বসানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরাও।
৩) মানসিক ভাবে স্থির থাকতে পারলে সারা দিন সুষ্ঠু ভাবে সব কাজই সামলে ফেলতে পারেন। ঘুম থেকে উঠে অন্তত একটি পাতা পড়ার অভ্যাস করতে পারলে সৃজনক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।