ছবি: সংগৃহীত।
চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে না কি ভেঙে পড়ছে? জিজ্ঞাসা করলে বেশির ভাগ মানুষই হয়তো দু’টি বিষয়কে আলাদা করতে পারবেন না। শ্যাম্পু করার সময়ে চুলে জল দিতে গেলেই মুঠো মুঠো চুল পড়ে। আবার, সারা দিন বেঁধে রাখা চুল রাতে আঁচড়াতে গেলেও ঘরের মেঝেতে ছড়িয়ে পড়ে। তবে ত্বকের চিকিৎসকেরা কিন্তু বলছেন, দু’টি জিনিস একেবারেই এক নয়। ‘হেয়ার থিনিং’ বা চুল পাতলা হয় মাথার ত্বক থেকে। চুলের গোড়া থেকে সহজে চুল উঠে আসে। সেই জায়গায় নতুন চুলও গজায় না। কিন্তু ‘হেয়ার ব্রেকেজ’ গোড়া থেকে হয় না। মূলত অযত্ন এবং অপুষ্টির ফলে চুলের দুর্বল অংশ মাঝখান থেকে ভেঙে যায়।
চুল পাতলা হয়ে যাওয়া এবং ভেঙে যাওয়ার পিছনে কী কী কারণ থাকতে পারে?
ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, হঠাৎ ‘ক্রাশ ডায়েট’ করতে শুরু করলে চুল পাতলা হয়ে যেতে পারে। মূলত শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন বা খনিজের অভাব থাকলে এই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। মানসিক চাপ বাড়তে থাকলেও চুল পাতলা হয়ে যেতে পারে। আবার, টেনে চুল বাঁধা বা চুলের বিশেষ কায়দাও কিন্তু চুল পাতলা করে দেয়। হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে কিংবা শারীরিক জটিলতা থেকেও চুল পাতলা হয়ে যায়।
কিন্তু, চুল ভেঙে পড়ার কারণ আলাদা। মূলত দূষণ এবং অতিবেগনি রশ্মির প্রভাবে চুলের মান নষ্ট হতে শুরু করে। সঠিক সতর্কতা অবলম্বন না করে চুলে ঘন ঘন স্ট্রেটনার ব্যবহার করলেও চুল ভেঙে যায়। খুব গরম জলে স্নান করলে কিংবা শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার ব্যবহার না করলেও চুলের মান খারাপ হয়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে চুল ভেঙে পড়ার সমস্যা আরও বাড়তে থাকে।
চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার নানাবিধ কারণ থাকতে পারে। শারীরিক কোনও সমস্যা বা অপুষ্টিজনিত কারণ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চুল ভেঙে পড়ার পিছনেও অপুষ্টিজনিত সমস্যা থাকতে পারে। তবে ঘন ঘন শ্যাম্পু করলে কিংবা শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার না মাখলেও চুল ভেঙে পড়তে পারে। তাই চুলের সঠিক যত্ন নেওয়া বিশেষ ভাবে প্রয়োজন।