নিমের গুণাগুণ। ছবি: সংগৃহীত।
বসন্তকালে বহু রোগেরই প্রকোপ বাড়ে। তাই অনেক বাড়িতেই এই সময়ে নিমপাতা খাওয়ার চল রয়েছে। সে নিমপাতা বেটে তৈরি করা বড়িই হোক বা নিমবেগুন ভাজা— এই পাতার উপর মানুষের অগাধ বিশ্বাস। চিকিৎসকেরা বলছেন, নিমের ভেষজগুণের সংখ্যা বিপুল। নিমে প্রায় ১৪০ রকমের সক্রিয় উপাদান রয়েছে, যেগুলি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও প্রদাহনাশক হিসাবে অত্যন্ত কার্যকর। কৃমিনাশক হিসাবেও কাজ করে নিম। এ ছাড়া আর কী কী গুণ রয়েছে নিমের?
১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় নিমপাতা। রোজ সকালে উঠে খালি পেটে দু’টি পাতা খেতে পারলে মরসুম বদলের সময়ে কথায় কথায় ঠান্ডা লেগে যাওয়ার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আরও বহু ধরনের রোগের সঙ্গে লড়ার ক্ষমতা বাড়ে।
২) পেটের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে এই পাতা। অনেকেই অল্পে গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু রোজ নিমপাতা খাওয়া গেলে সেই সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে।
৩) ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া থেকে ব্রণ, নানা ধরনের সমস্যা লেগেই থাকে। এ সবেরও সমাধান করতে পারে নিমপাতা। নিয়মিত নিমপাতা খেলে বা ওই পাতা বেটে গায়ে লাগালে ত্বকের সমস্যা শুধু কমবে না, সঙ্গে জেল্লাও বাড়বে।
রক্তে ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে নিমপাতা। ছবি: সংগৃহীত।
৪) রক্তে ইনসুলিনের ক্ষরণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে নিমপাতা। খালি পেটে হোক বা গরম ভাতে, নিয়মিত নিমপাতা খাওয়ার অভ্যাসে রক্তে থাকা নানা দূষিত পদার্থ দূর হয়ে যায়।
৫) রোগা হতে চাইছেন, অথচ বিপাকহার ভাল নয়। কড়া ডায়েট করেও কিন্তু কোনও লাভ হবে না। বিপাকহার উন্নত করতে গেলে অন্ত্রে থাকা ভাল ব্যাক্টেরিয়াগুলির পরিমাণ বাড়িয়ে তোলা প্রয়োজন। নিয়মিত নিমপাতা খেলে অন্ত্রে থাকা খারাপ ব্যাক্টেরিয়াগুলি ধ্বংস হয়, ভাল ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়ে।