জলে নামার আগে কী কী করবেন? ছবি: সংগৃহীত।
অনেক দিন থেকেই ভাবছিলেন সাঁতারটা শিখলে ভাল হয়। আর দেরি না করে এই গরমে পাড়ার সুইমিং ক্লাবে নাম লিখিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু মনে মনে ভয়ও পাচ্ছেন। মধ্যবয়সে এমন ‘মধ্যপ্রদেশ’ নিয়ে জলের নেমে শেষে কেলেঙ্কারি না বাধে! আর কিছু না হোক, সুইমিং পুল বা পুকুরের জল খেয়ে কিছু ক্ষণ হাবুডুবু খেতেই হবে। তার উপর সারা গায়ে ব্যথা, জলবাহিত সংক্রমণ, জ্বর-জ্বালা তো আছেই। তাই বলে সাঁতার কাটার ইচ্ছে অপূর্ণই থেকে যাবে? প্রশিক্ষকেরা বলছেন, যাঁরা একেবারে কোনও রকম শরীরচর্চার সঙ্গে যুক্ত নন, তাঁদের জন্য সাঁতারের মতো ব্যায়াম ঝক্কির। জলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া কিংবা জলের মধ্যে কায়িক পরিশ্রম করা কঠিন, কিন্তু অসম্ভব নয়। মধ্যবয়সে এসে নতুন করে শুরু করতে হলে শুধু কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন।
১) শ্বাসপ্রশ্বাসের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে শেখা
জলে নামার আগে সাঁতারের বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। কী ভাবে শ্বাস নিলে নাক-মুখ দিয়ে জল ঢুকবে না সেই ফিকির নিজেকে বুঝে নিতে হবে। জলের তলায় মুখ ডুবিয়ে দম ধরে রাখা সহজ নয়। তার জন্য আগে থেকে ‘ব্রিদিং এক্সারসাইজ়’ করা যেতে পারে।
২) জলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা
কলের জল, শাওয়ার কিংবা বাথটবে স্নান করা আর পুকুর বা পুলে নেমে স্নান করার মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে। প্রথম দিন সাঁতারের পোশাক পরে ঝুপ করে জলে নেমে পড়ার আগে পুলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিন। পুলের পাড়ে, জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকতে পারেন। ডুবজলে না গিয়ে কোমর পর্যন্ত নেমে চোখে-মুখে জলের ছিটে দিতে পারেন।
জলে নামার আগে সাঁতারের বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। ছবি: সংগৃহীত।
৩) জলের মধ্যে নিজেকে ভাসিয়ে রাখা
পুলের রেলিং ধরে মাটি থেকে পা তুলে ধীরে ধীরে গোটা শরীরটাকে ভাসিয়ে রাখতে চেষ্টা করুন। নিজেকে ভাসিয়ে রাখার সবচেয়ে ভাল ফিকির হল জলের মধ্যে মাথা ডুবিয়ে দেওয়া। লম্বা দম নিয়ে ঠোঁট চেপে জলের মধ্যে মুখ ডুবিয়ে দিলে দেহ ভেসে উঠবে। খেয়াল রাখবেন, দম ছাড়লেই কিন্তু বিপদ!