মুখের মেদ ঝরবে যোগাসনেই। ছবি: সংগৃহীত।
ওজন বাড়তে শুরু করলে মেদ শুধু শরীরে জমে না, থুতনির নীচেও চর্বি জমতে থাকে। থুতনির বাড়তি মেদ অনেকেরই কাছেই অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে। ভরাট মুখ পছন্দ অনেকেরই। আবার কারও তীক্ষ্ণ মুখ চাই। মুখের বাড়তি মেদ অনেক সময় প্রসাধনী ব্যবহার করে খানিকটা আড়াল করা গেলেও, পুরোটা কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। মুখের বাড়তি মেদের কারণেই কমবয়সেও বয়স্ক দেখাতে পারে। মুখের মেদ রাতারাতি ঝরিয়ে ফেলা সম্ভব নয়। পুজো আসতে এখনও বাকি কিছু দিন। এই কয়েক দিনে কিছু আসন যদি নিয়মিত করতে পারেন, তা হলে মুখের মেদ ঝরতে বাধ্য।
ভুজঙ্গাসন
ম্যাটের উপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার হাতের তালু্ মেঝের উপর পাঁজরের দুই পাশে রাখুন। এর পর কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীরটা ধীরে ধীরে উপরের দিতে তুলুন। এর পর মাথা বেঁকিয়ে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর পূর্বের অবস্থায় ফিরে যান। প্রথম দিকে এই আসন তিন বার করুন।
মৎসাসন
প্রথমে একটি মাদুরের উপর টান টান করে শুয়ে পড়ুন। দু’পাশে টান টান করে রাখতে হবে দুই হাত। তার পরে চোখ বুজে ফেলতে হবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। এ বার ধীরে ধীরে ধনুকের মতো করে পিঠ বেঁকিয়ে নিন। শরীরের ভার হাতের উপর রাখুন। বুক উপরের দিকে উঠে আসবে। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। এই ভঙ্গিতে দু’-তিন মিনিট থাকতে পারলে ভাল।
ধনুরাসন
উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। তার পর হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা যতটা সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এ বার হাত দু’টি পিছনে নিয়ে গিয়ে গোড়ালির উপর শক্ত করে চেপে ধরুন। চেষ্টা করুন পা দু’টি মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসতে। এই ভঙ্গিতে মেঝে থেকে বুকে হাঁটু ও উরু উঠে আসবে। তলপেট ও পেট মেঝেতে রেখে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন। তার পর পূর্বের ভঙ্গিতে ফিরে যান। এই আসন বার তিনেক করতে পারেন।