পুজোর আগেই ঝরবে মেদ। ছবি: সংগৃহীত।
ডায়েট, শরীরচর্চা, খাওয়াদাওয়ায় কঠোর নিয়ম মেনে রোগা হওয়া সম্ভব হলেও, পেটের মেদ সহজে ঝরতে চায় না। তার উপর সারা ক্ষণ অফিসে বসে কাজ। বেশির ভাগ দিনই বাইরের খাবার আনিয়ে খাওয়া। সব মিলিয়ে, 'মধ্যপ্রদেশ' বাড়তেই থাকে। এ দিকে ঘরে-বাইরে কাজের চাপে শরীরচর্চারও সময় নেই। জিমে গিয়ে মেদ ঝরানোর ব্যাপারেও আলসেমি। তা হলে উপায়? জিমে না গিয়ে, শরীরচর্চা না করেও দিব্যি পেটের মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারেন। তার জন্য নিয়ম করে খেতে হবে কতগুলি চেনা সব্জি দিয়ে তৈরি পানীয়। কোন কোন সব্জির গুণে জব্দ হবে পেটের মেদ?
লাউয়ের রস
অনেকের অপছন্দ হলেও লাউ ওজন ঝরানোর পক্ষে কার্যকরী। লাউয়ে রয়েছে ভিটামিন এ,বি, সি। এ ছাড়াও এই সব্জিতে দ্রবণীয় ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। ফাইবার যে কোনও খাবার দ্রুত হজম হতে সাহায্য করে। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার থাকলে ওজন কমানোও অনেক সহজ হয়ে যায়। ফাইবার ছাড়াও লাউয়ে প্রোটিন, পটাশিয়াম, মিনারেলসও আছে ভরপুর পরিমাণে। ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় যে উপাদানগুলি অত্যন্ত জরুরি।
বিটের রস
ওজন কমানোর জন্য নীতা অম্বানী রোজ সকালে দু’গ্লাস করে বিটের রস খেতেন। বিট ওজন কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিটে রয়েছে ফোলেট, নাইট্রেট, ডায়েটারি ফাইবার, যা দ্রুত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও বিটে ক্যালোরির পরিমাণ কম। ফলে দ্রুত ওজন ঝরাতে বেশি খেলেও কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
গাজরের রস
ছিপছিপে হতে গাজরের ভূমিকা বলা বাহুল্য। রোগা হওয়ার ডায়েটে গাজর রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদেরা। মিনারেলস, ভিটামিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট— গাজরে পুষ্টিকর উপাদানের শেষ নেই। এই উপাদানগুলি শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে তো বটেই, সেই সঙ্গে ওজন কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। পুজোর আগে পেটের মেদ কী ভাবে ঝরাবেন, তা ভেবে রাতের ঘুম না উড়িয়ে বরং সপ্তাহে কয়েক দিন গাজরের রস খেতে পারেন।
শসার রস
স্যালাডে শসা তো থাকছেই। তবে বাড়তি সুফল পেতে শসা দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন স্বাস্থ্যকর পানীয়। শসায় জলের পরিমাণ ৯৮ শতাংশ। আর বাড়তি মেদ ঝরাতে শরীরে জলের পরিমাণ পর্যাপ্ত হওয়া জরুরি। শসা হজমশক্তি বাড়ায়। হজমের গোলমাল নিয়ন্ত্রণে থাকলে ওজন ঝরানোও সহজ হয়ে যাবে।