চুল কেমন হবে, তা শুধু বাহ্যিক পরিচর্যার উপর নির্ভর করে না। ছবি: ফ্রিপিক।
একঢাল ঘন কালো চুলের স্বপ্ন থাকে সবারই। লম্বা চুল যাঁদের পছন্দ, কম চেষ্টা করেন না তা পাওয়ার জন্য। বাজারচলতি প্রসাধনীর ব্যবহার তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে ঘরোয়া উপায়েও চেষ্টা চালিয়ে যান। বর্তমানে ব্যস্ত সময়ে প্রতিদিন নিয়ম করে পরিচর্যা করা সম্ভব হয় না। বাইরের দূষণ, ক্ষতিকারক রাসায়নিক চুলকে রুক্ষ ও শুষ্ক করে তোলে। তখন চুল কাটিয়ে ফেলা ছাড়া আর কোনও উপায় অবশিষ্ট থাকে না।
চুল কেমন হবে, তা শুধু বাহ্যিক পরিচর্যার উপর নির্ভর করে না। চুল লম্বা করার আগে নজর দেওয়া জরুরি মাথার ত্বকে। মাথার ত্বকে ঠিক মতো রক্ত সঞ্চালন না হলে চুল লম্বা তো হবেই না, উল্টে চুল ঝরবে। তবে নিয়মিত শরীরচর্চা করলে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত হয়। তা চুলকে লম্বা করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কোন আসনগুলি চুল লম্বা করতে সাহায্য করে?
বজ্রাসন
এই আসনটি করতে প্রথমে কোনও সমতল জায়গায় পিছন দিকে হাঁটু মুড়ে বসুন। এ বার হাঁটু দু’টি একে অপরের সঙ্গে জুড়ে পায়ের গোড়ালির উপর বসুন। দু’হাতের তালু হাঁটুর উপরে সোজা করে রাখুন। পুরো শরীর টান টান রেখে ৩-৪ মিনিট এই অবস্থায় বসুন। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। কিছু ক্ষণ পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন। প্রতি দিন সকালে অথবা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই আসনটি করতে পারেন। চুল ঝরবে কম।
মৎস্যাসন
প্রথমে পদ্মাসনে বসুন। তার পর হাতে ভর দিয়ে পিছন দিকে হেলিয়ে দিন মাথা। এ বার হাতের তালুকে কাঁধের পিছনে ঠেকিয়ে তাতে ভর করে গলা যতটা পিছনে সম্ভব, মুড়তে চেষ্টা করুন। ধীরে ধীরে পিঠ আর বুক মাটি থেকে তুলতে চেষ্টা করুন। হাত দিয়ে পায়ের বুড়ো আঙুল টেনে ধরে রাখুন। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ বার এই আসনটি করলে অচিরেই চুল পড়া বন্ধ হবে।
সর্বাঙ্গআসন
প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা দু’টি জোড়া করে উপরে তুলুন। এ বার দু’হাতের তালু দিয়ে পিঠ এমন ভাবে ঠেলে ধরুন, যেন ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত এক সরলরেখায় থাকে। থুতনিটি বুকের সঙ্গে লেগে থাকবে। স্বাভাবিক ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিন। গুনুন। শবাসনে বিশ্রাম নিন। এ ভাবে তিন বার অভ্যাস করুন। আসনটি প্রথম প্রথম দুই থেকে তিন বার করুন। এই আসন শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত এই আসনটি করলে চুল পড়ার সমস্যা দূর হবে।