প্রতিদিন আদরের বালিশে মাথা না রাখলে ঘুম আসে না? ছবি- সংগৃহীত
আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকেও নানা ধরনের সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। তার উপর প্রতিদিনের দূষণ, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার প্রভাব তো রয়েছেই। সেই কথা মাথায় রেখে ক্লান্তি সত্ত্বেও ‘সিটিএম’ রুটিন মেনে তবেই শুতে যান। দু-তিন দিন অন্তর এক্সফোলিয়েট করা তো আছেই। তবু ত্বকে র্যাশ, ব্রণ, মৃত কোষ, নিষ্প্রাণ, জেল্লাহীন ত্বকের মতো ছোটখাট সমস্যাগুলিকে এড়িয়ে চলা যাচ্ছে না কেন?
চিকিৎসকদের মতে, সব কিছু করার পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখাও বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যেমন মুখ ধোয়ার পর যে তোয়ালে দিয়ে মুখ মোছেন, তা প্রতিদিন পরিষ্কার করা। এ ছাড়াও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আরও দু’টি বিষয় হল, বিছানার চাদর এবং বালিশের খোল বদলানো।
শুধু ত্বক নয়, চুল থেকে খুশকি দূর করতেও বালিশের খোল, চাদর পাল্টানো জরুরি। ছবি- সংগৃহীত
শুনে অবাক হলেও এ কথা সত্যি যে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে অনেক কিছু করলেও চাদর বা বলিশের কথা চট করে মাথায় আসে না কারও। কেউ কেউ আবার ছ’মাস অন্তরও বালিশের খোল পাল্টান। কিন্তু এই অভ্যাসের ফলেই ত্বকের ক্ষতি বাড়ছে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
চাদর বা বলিশে এমন কী থাকে? প্রতিদিন আদরের বালিশে মাথা না রাখলে ঘুম আসে না। ঠিক সেই সময়ই মাথার ত্বকের থাকা অতিরিক্ত তেল, খুশকি, নানা রকম ব্যাকটেরিয়া বালিশের গায়ে আটকে যায়। লেগে যেতে পারে চাদরেও। পরের দিন সেই একই বালিশ এবং চাদর ব্যবহার করলে সেখান থেকে তা মুখে, পিঠে বা দেহের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। তাই শুধু মুখ পরিষ্কার করলেই সব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয়।
শুধু ত্বক নয়, চুল থেকে খুশকি দূর করতেও বালিশের খোল, চাদর পাল্টানো জরুরি। তবে, এর পাশাপাশি চিরুনি, মেকআপ করার ব্রাশ বা ব্লেন্ডার, মাথা মোছার তোয়ালেকেও নিয়মিত পরিষ্কার করলে ফল মিলবে হাতেনাতে।