How to Choose Facewash

লাল, নীল, হলুদ, সবুজের মধ্যে কোন ফেসওয়াশটি আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত, বুঝবেন কী করে?

উপর থেকে দেখে তো সবক’টিই ভাল লাগে। কিন্তু ফেসওয়াশের মধ্যে থাকা সব উপকরণই যে সকলের ত্বকের জন্য উপযুক্ত, তেমনটা না-ও হতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:২০
Share:

কোন ফেসওয়াশ কিনবেন? ছবি: সংগৃহীত।

প্রতি দিনই কোন না কোনও সংস্থা নিত্যনতুন ফেসওয়াশ বাজারে আনছে। কোনওটিতে রয়েছে নানা রকম ফলের নির্যাস। আবার কোনওটিতে নিম, হলুদ, অ্যালো ভেরার মতো ভেষজ। লাল, নীল, হলুদ, সবুজের মেলা থেকে কোনটি ভাল, তা খুঁজতে গিয়েই মাথার ঘাম পায়ে ফেলার জোগাড়। উপর থেকে দেখে তো সবক’টিই ভাল লাগে। কিন্তু সব উপকরণ যে সকলের ত্বকের জন্য উপযুক্ত তেমনটা না-ও হতে পারে। ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, ফেসওয়াশ কেনার সময়ে ফেসওয়াশের উপকরণ এবং ত্বকের ধরনের উপরে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

Advertisement

কী ধরনের ত্বকে, কেমন ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে হবে?

১) সাধারণ ত্বক

Advertisement

যাঁদের ত্বক খুব তৈলাক্ত বা শুষ্ক নয়, তাঁদের ত্বক নিয়ে খুব একটা চিন্তা করতে হয় না। দিনে দু’বার হাইড্রেটিং ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুলেই ত্বকের স্বাভাবিক তেল অর্থাৎ সেবামের ভারসাম্য বজায় থাকবে। পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে এই হাইড্রেটিং ফেসওয়াশ।

২) তৈলাক্ত ত্বক

এই ধরনের ত্বকের জন্য জেল বেস্‌ড ফেসওয়াশ ভাল। বাজারে অনেক ধরনের ‘অয়েল-ফ্রি’ ফেসওয়াশ পাওয়া যায়। তবে সেবাম ক্ষরণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, বেনজ়য়েল পারঅক্সাইড দেওয়া ফেসওয়াশ ব্যবহার করাই ভাল।

৩) শুষ্ক ত্বক

যাঁদের ত্বক শুষ্ক, শীতে তাঁদের মুখ আরও বেশি খসখসে হয়ে যায়। মুখ ধোয়ার পরেই চামড়ায় টান লাগে। তাঁদের জন্য শুধু হাইড্রেটিং ফেসওয়াশ উপযুক্ত নয়। হায়ালুরনিক অ্যাসিড, গ্লিসারিন বা সেরামাইডযুক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা সম্ভব।

৪) স্পর্শকাতর ত্বক

যাঁদের ত্বক স্পর্শকাতর, তাঁরা কোনও ধরনের প্রসাধনী মাখতেই ভয় পান। ত্বকের বাড়াবা়ড়ি রকমের সমস্যা থাকলে সে ক্ষেত্রে ত্বকের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফেসওয়াশ কেনাই ভাল। না হলে অ্যালো ভেরা জেল বা ক্যামোমাইল অয়েল দেওয়া ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে।

ফেসওয়াশ কেনার সময়ে ফেসওয়াশের উপকরণ এবং ত্বকের ধরনের উপরে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ছবি: সংগৃহীত।

৫) ব্রণযুক্ত ত্বক

ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে ব্রণের আধিক্য হওয়া স্বাভাবিক। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বাড়িতেই নিম, হলুদের প্যাক মাখেন। তবে ফেসওয়াশেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ব্রণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই স্যালিসাইলিক অ্যাসিড, বেনজ়য়েল পারঅক্সাইড দেওয়া ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যেতেই পারে।

৬) অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বক

শীতকালে অনেকেরই ত্বক ফেটে যায়। কারও কারও আবার রক্ত বেরোয়। তার উপর মুখে সাবান দিলে ত্বকে আরও টান পড়ে। তাই বলে মুখে ফেসওয়াশ দেওয়া তো বন্ধ করে দিতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে রেটিনল বা হায়ালুরনিক অ্যাসিড দেওয়া ফেসওয়াশ ব্যবহার করতেই পারেন।

৭) কালচে দাগছোপ যুক্ত ত্বক

ব্রণ সেরে যাওয়ার পরে অনেকেরই ত্বকে দাগ থেকে যায়। আবার বয়সজনিত কারণেও ত্বক জেল্লা হারাতে পারে। ত্বকে কালচে ছোপ পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে ত্বকে ভিটামিন সি বা নায়াসিনামাইড-যুক্ত ফেসওয়াশ ব্যবহার করাই ভাল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement