দিল্লিতে দূষণের মাত্রা কিছুটা কমলেও বাতাসের গুণমানের সূচক এখনও ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে। ছবি: রয়টার্স
দিল্লিতে দূষণের মাত্রা কিছুটা কমেছে। বাতাসের গুণমানের সূচক (একিউআই) ‘অতি ভয়ানক’ থেকে ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে উঠেছে। তার পরেও সুপ্রিম কোর্ট এখনই সেখানে দূষণ নিয়ন্ত্রণের চতুর্থ স্তরের (সর্বোচ্চ) পদক্ষেপ (গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান ৪ বা জিআরএপি-৪) প্রত্যাহার করার পক্ষপাতী নয়। শুক্রবার দেশের শীর্ষ আদালত জানাল, আগামী ৭২ ঘণ্টা দিল্লি এবং সংলগ্ন এনসিআরে চালু থাকবে জিআরএপি-৪।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকার পর্যবেক্ষণ, জিআরএপি চতুর্থ পর্যায় থেকে কমিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে করা হবে কি না, সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সোমবার। জিআরএপি-৪ চালু থাকার কারণে ভিন্রাজ্য থেকে সীমানা পেরিয়ে দিল্লিতে ট্রাক প্রবেশের উপর বিধিনিষেধ রয়েছে। জরুরি পণ্য বহন করছে না এমন ট্রাক এখন দিল্লিতে প্রবেশ করতে পারে না। যদিও এই নিষেধাজ্ঞা কতটা কার্যকর হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সোমবার দিল্লির সীমানায় নজরদারি বৃদ্ধি করার পরামর্শ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘‘ট্রাকের প্রবেশ কী ভাবে বন্ধ করেন আপনারা (দিল্লি সরকার)? এনসিআরে ট্রাকের প্রবেশে নজরদারি চালানোর জন্য বিশেষজ্ঞদের দলের প্রয়োজন।’’
শুক্রবার দিল্লির বাতাসের গুণগত মানের সূচক ছিল ৩৭৩। টানা আট দিন ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ে থাকার পর বৃহস্পতিবার থেকে ‘খুব খারাপ’ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। তবে বেশ কয়েকটি জায়গায় আবার পরিস্থিতি ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের (সিপিসিবি) তথ্য বলছে। সিপিসিবি-র শুক্রবারের তথ্য বলছে, চাঁদনি চকে বাতাসের গুণগত মানের সূচক ৩৫৯, বিমানবন্দর এলাকায় ৩৫৭, আইটিও মোড়ে ৩৪৪, আরকে পুরমে ৩৭২। তবে আনন্দ বিহার, বাওয়ানা, জাহাঙ্গিরপুরী, মুন্ডকা, নেহরু নগর, সোনিয়া বিহার, বিবেক বিহার, ওয়াজ়িরপুরে বাতাসের গুণগত মানের সূচক ‘অতি ভয়ানক’ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই সব অঞ্চলে বাতাসের মানের সূচক ৪০০-র উপরে।
গত সোমবারই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, আদালতকে না জানিয়ে চতুর্থ স্তরের নিয়ন্ত্রণবিধি শিথিল করা যাবে না। শুক্রবার বিচারপতি জানালেন, এই নিয়ে সোমবার সিদ্ধান্ত নেবে শীর্ষ আদালত। একিউআই ৪৫০ ছাড়ালে গ্র্যাপ-৪ চালু করা হয়। যে সব গাড়ির নম্বর অন্য রাজ্যের, সেগুলি দিল্লির রাস্তায় চলতে পারে না। ব্যাটারিচালিত গাড়ির ক্ষেত্রে সেই নিষেধাজ্ঞা নেই। এই পরিকল্পনা চালু হলে হাই স্কুল বন্ধ করে অনলাইন ক্লাস চালু করা হয়।