দীর্ঘ যাত্রায় বিমানেও ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
কাজ হোক বা বেড়ানো, অনেক সময়ই দীর্ঘ উড়ানে পাড়ি দিতে হয়। বিমানের চৌহদ্দিতেই কাটাতে হয় অনেকটা সময়। কারও মনে হতেই পারে, সেখানে রোদ, ধুলো-ধোঁয়া নেই, আলাদা করে ত্বকের যত্নের কী প্রয়োজন। কিন্তু তা নয়, যে হেতু অনেক উঁচু দিয়ে বিমান পাড়ি দেয়, তাই বাতাসের চাপ, আর্দ্রতার তারতম্যে প্রভাব পড়ে বিমানযাত্রীদের উপরেও। টানা বিমানের এসির মধ্যে থাকা ফলে ত্বকও রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। তাই কিছুটা হলেও ত্বকের পরিচর্যা প্রয়োজন। বিশেষত যাঁদের ঘন ঘন উড়ানে লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয়, তাঁদেরও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা দরকার।
১. জলশূন্যতা ঠেকাতে পানীয় গ্রহণ করা দরকার। তবে তা অ্যালকোহল জাতীয় বা কার্বোনেটেড পানীয় না হওয়াই বাঞ্ছনীয়। বদলে জল খাওয়া দরকার বার বার।
২. বিমানে ওঠার আগে মুখে তো বটেই, গোটা শরীরে ময়শ্চারাইজ়ার ব্যবহার করা উচিত। হাইলুরোনিক অ্যাসিড রয়েছে এমন ময়শ্চারাইজ়ার বা ভিটামিন সি, ই যুক্ত ক্রিম মাখা যেতে পারে।
৩. যে হেতু অনেক উঁচু দিয়ে বিমান যায়, জানলার ধারে বসলে সেখান থেকে রোদের তাপ আসে। ক্ষতিকর সূর্যরশ্মি থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিনও ব্যবহার করা উচিত।
৪. মুখ পরিষ্কারের জন্য ক্লিনজ়ার ও মাঝেমধ্যে তরতাজা ভাব বজায় রাখতে ফেস মিস্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. ঘুম না হওয়ার ফলে চোখের নীচে কালি পড়তে পারে। মুখের যত্নে ‘শিট-মাস্ক’ ব্যবহার করা যেতে পারে। চোখের চারপাশের ত্বক স্পর্শকাতর। তাই বিমানে বিশ্রাম নেওয়ার সময় চোখের জন্য বিশেষ ক্রিমও লাগিয়ে রাখা দরকার।
৬. ঘণ্টার পর ঘণ্টা টানা বসে থাকার ফলে অনেকেরই পা ফুলে যায়, গা, হাত ,পা ভারী লাগে। সুযোগ থাকলে মাঝেমধ্যে উঠে একটু হাঁটা উচিত। না হলে আসনে বসেই পা ঘুরিয়ে হালকা ব্যায়াম করে নেওয়া যেতে পারে।