তুলসী দিয়ে রকমারি পদ। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষার মরসুম মানে সর্দিকাশি, জ্বরের সম্ভাবনা। এই সময় ভ্যাপসা গরমে ঘাম বসে যেমন শরীর খারাপের ঝুঁকি তৈরি হয়, তেমনই বৃষ্টিতে ভিজলে ঠান্ডা লেগে যায় চট করে। এই সময় জলবাহিত রোগের প্রকোপও বাড়ে। সুস্থ থাকতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি প্রয়োজন। এ ব্যাপারে সাহায্য করতে পারে ঔষধিগুণ সম্পন্ন তুলসী।
আয়ুর্বেদে তুলসীকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। তুলসীর পাতা থেকে বীজ পর্যন্ত ঔষধিগুণে ভরপুর। জ্বর, সর্দি, ত্বকের প্রদাহ কমানো হোক বা ব্যাক্টেরিয়া-ভাইরাসকে প্রতিহত করা, তুলসীর জুড়ি মেলা ভার। তুলসীপাতার চায়ের ব্যবহার অনেকেই জানেন। তবে এই তুলসী দিয়ে রকমারি পদও বানাতে পারেন।
তুলসীর মকটেল
তুলসী মকটেল। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষার মরসুমে শরীর ভাল রাখতে জল পান জরুরি। তবে শুধু জল খেতে ভাল না লাগলে তুলসী দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন মকটেল। এতে শরীরেও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, তেষ্টাও মিটবে। পদ্ধতিও সহজ। জলের মধ্যে তুলসীপাতা ও আদা থেঁতো করে দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হয়ে এলে মিশিয়ে দিন মধু ও সামান্য বিটনুন। মিশ্রণটি ছেঁকে ক্র্যানবেরি রসের সঙ্গে মিশিয়ে গ্লাসে বরফকুচি দিয়ে ঢেলে নিন।
তুলসীর সবুজ চাটনি
তুলসী, ধনেপাতা, আদা, কাঁচালঙ্কা একসঙ্গে বেটে নিন। স্বাদমতো নুন, চিনি ও তেঁতুলের জল বা লেবুর রস মিশিয়ে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে তুলসীপাতার সবুজ চাটনি। ভাত, রুটির সঙ্গে খেতে পারেন।
তুলসীর স্যান্ডউইচ
পেঁয়াজ, টম্যাটো কুচিয়ে তার সঙ্গে নুন, গোলমরিচ, অ্যারিগ্যানো, চিলি ফ্লেক্স মিশিয়ে নিন। স্বাদ মতো নুন দিতে হবে। এর পর গ্রেট করা পনির ও টাটকা তুলসীপাতা মিশিয়ে দিন। পাউরুটির মধ্যে ভরে স্যান্ডউইচ বানিয়ে ফেলুন।
তুলসী ও হলুদের মিশ্রণ
তুলসীর পাশাপাশি হলুদেরও অনেক গুণ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে জলে তুলসীপাতা ও হলুদ গুঁড়ো কিছু ক্ষণ ফুটিয়ে খেতে পারেন।
মধু-তুলসীর পাঁচন
তুলসীপাতা থেঁতো করে রস নিংড়ে, তার সঙ্গে মধু সামান্য গরম করে খেলে সর্দিকাশি সেরে যায়।