—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে। কৃষ্ণনগর-নবদ্বীপ রেল লাইনের জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হল। এরই মধ্যে রটি মৌজার জমি অধিগ্রহণ হয়ে গিয়েছে বলে জেলা প্রশাসনের দাবি। খুব দ্রুত বাকি চারটি মৌজার জমিও অধিগ্রহণ হবে। যদিও রেলের তরফে অধিগৃহীত জমি কেনার টাকা এখনও দেওয়া হয়নি।
রেল ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালের ১৮ জানুয়ারি শান্তিপুর থেকে নবদ্বীপঘাট পর্যন্ত ভায়া কৃষ্ণনগর ন্যারোগেজ রেল পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। তার কয়েক দিন আগেই ৭ জানুয়ারি তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ন্যারোগেজ লাইনকে ব্রডগেজ করার প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। প্রকল্প অনুযায়ী, প্রায় ১০৬ কোটি টাকা খরচ করে নবদ্বীপে ভাগীরথীর উপরে রেল সেতুও তৈরি হয়। শান্তিপুর-কৃষ্ণনগরের মধ্যে লাইনের কাজ দ্রুত শেষ হলেও নবদ্বীপ পর্যন্ত লাইন তৈরির কাজ জমিজটে আটকে যায়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আবার নতুন করে নোটিফিকেশন জারি করে জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু হয়। ধাপে ধাপে গাদিগাছা, মাজদিয়া, উশিৎপুর ও তেঘরি মৌজার ৩৫২টি প্লটের ১০৭.৭৬৫৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে জেলা প্রশাসনের তরফে রেলওয়ে অ্যাক্ট-১৯৮৯ অনুযায়ী জমি অধিগ্রণের জন্য গেজেট নোটিফিকেশন জারি করা হয়। তার পর একাধিক বার জমি অধিগ্রহণের নোটিফিকেশন জারি করা হলেও বাসিন্দাদের আপত্তিতে তা বাস্তবায়িত হয়নি।
জেলা প্রশাসনের দাবি, এবারে রেল কর্তৃপক্ষ টাকা দিলেই চারটি মৌজার জমি কিনে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে। সেই মতো অতিরিক্ত জেলা শাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) গত বছরই ২০ সেপ্টেম্বর রেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রেলের তরফে টাকা না আসায় জমি কেনার প্রক্রিয়া থমকে আছে বলে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের দাবি।
(চলবে)