রাত্রিকালীন রূপরুটিনে অনেকেই ময়েশ্চারাইজার হিসাবে ত্বকে নারকেল তেল মেখে থাকেন। ছবি: সংগৃহীত।
রূপচর্চায় নারকেল তেল ব্যবহৃত হয়ে আসছে বহু দিন আগে থেকেই। ত্বকের সমস্যার সমাধান থেকে কেশ পরিচর্যা— নারকেল তেলের ভূমিকা সবেতেই অনবদ্য। শুধু ত্বক কিংবা চুল নয়, সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে নারকেল তেলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
রাত্রিকালীন রূপরুটিনে অনেকেই ময়েশ্চারাইজার হিসাবে ত্বকে নারকেল তেল মেখে থাকেন। চোখের নীচের ফোলা ভাব, ত্বকের বলিরেখা, মেচেতা দূর করতেও নারকেল তেল বেশ উপকারী। এমনকি, মেকআপ তুলতেও অনেকে নারকেল তেল ব্যবহার করে থাকেন। কেউ কেউ আবার নাইটক্রিম হিসাবে ব্যবহার করেন নারকেল তেল। লরিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ নারকেল তেল ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধি করে। এর প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য ত্বকের বিভিন্ন সংক্রমণ দূর করে।
নারকেল তেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট। দীর্ঘ ক্ষণ ধরে নারকেল তেলের এই ফ্যাট ত্বকের ছিদ্রমুখ বন্ধ করে দেয়। নারকেল তেল স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য ব্রণ বা অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। এ ছাড়া, যাঁদের ত্বক অত্যন্ত ব্রণ প্রবণ এবং তৈলাক্ত, ত্বকের যত্ন নিতে তাঁদের নারকেল তেল এড়িয়ে চলাই ভাল। ত্বকের র্যাশ, লালচে ভাব দেখা দিতে পারে। নারকেল তেল প্রদাহ বিরোধী হলেও তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে প্রদাহজনিত নানা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।