চুল হোক বা ত্বক— রূপের বাহার আনতে সঙ্গী করতেই পারেন চালধোয়া জল। ছবি: সংগৃহীত
ভাত বসানোর আগে খানিক ক্ষণ ভিজিয়ে রাখলে সেদ্ধ হতে কম সময় লাগবে। অনেকেই সে জল ফেলে দিয়ে, আবার নতুন করে জল দিয়ে ভাত রান্না করেন। কিন্তু এত ক্ষণ যেই জলে চাল ভিজল, তার সঙ্গে অনেকটাই পুষ্টিগুণ চলে গেল। সেই জল এর পর থেকে ফেলে না দিয়ে দারুণ রূপচর্চা করতে পারেন কিন্তু! ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই জলের জুড়ি মেলা ভার।
রূপচর্চায় চালের জল বেশি ব্যবহার করেন চিনারা। ভাত বসানোর আগে চালের জল এক বার ঝেড়ে নেওয়া হয় বহু বাড়িতেই। সেই জলটি ফেলে না দিয়ে চুল ও ত্বকের যত্নে দিব্যি ব্যবহার করেন তাঁরা।
চাল ভেজানো জলে কী কী গুণ রয়েছে?
১) চালধোয়া জলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো অ্যাসিড থাকে। এতে ভাল মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। তুলোয় করে চালধোয়া জলটা নিয়ে সারা মুখে নিয়মিত লাগাতে পারেন। কয়েক মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। এতে ত্বক হবে নরম, উজ্জ্বল।
২) সারা বছর ব্রণর সমস্যা লেগে থাকে? চালধোয়া জলের রোজকার ব্যবহার কমিয়ে দেয় অ্যাকনের সমস্যা।
৩) রোদ থেকে ফিরে সানবার্নের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে চালধোয়া ঠান্ডা জল মুখে লাগাতে পারেন।
চুলের জন্যও চালধোয়া জল উপকারী। ছবি: শাটারস্টক
৪) চুলের জন্যও চালধোয়া জল উপকারী। শ্যাম্পু করার পর ওই জল দিয়ে চুল ভিজিয়ে ভাল করে মালিশ করুন। তার পর আবার পরিষ্কার জলে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে এক বা দু’দিন এই জল ব্যবহার করলে চুল হবে নরম, ফুরফুরে হবে। চুলের জেল্লাও ভার। চুলের কন্ডিশনিং করতেও এই জলের জুড়ি মেলা ভার।
৫) অতিরিক্ত গরমে, প্রচণ্ড রোদে ত্বকে দেখা দেয় র্যাশের সমস্যা। অনেক সময়ে মুখে ফোলা ভাবও দেখা যায়। তা দূর করতে হাতিয়ার করতে পারেন চালধোয়া জলকে। এই জলে তুলো ভিজিয়ে তা আলতো করে মুখে লাগান। বেশ কিছু ক্ষণ সে ভাবে রাখুন। জল শুকিয়ে গেলে আর এক বার মুখ ধুয়ে ফেলুন।
তাই চুল হোক বা ত্বক— রূপের বাহার আনতে সঙ্গী করতেই পারেন চালধোয়া জল।