কাজের জায়গাতে রেখে দিন জরুরি কিছু জিনিস, খুব কাজে লাগবে। ছবি: ফ্রিপিক।
দিনের বেশির ভাগ সময়টা অফিসেই কেটে যায়। সকালে কোনও রকমে নাকেমুখে গুঁজে অফিসের জন্য বেরোনো। হালকা মেকআপ। দিনভর কাজের শেষে বাড়ি ফিরে আর মুখ পরিষ্কার করার সময় নেই। রাতের ময়েশ্চারাইজ়ার মেখেই শুয়ে পড়ার তাড়া। রোজের রূপচর্চা বলতে এটুকুই। এ দিকে, দিনভর অফিসে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে কাজ, বাইরে বেরোলে রোদ-বৃষ্টিতে ত্বক-চুলের দফারফা। ফলে বিবর্ণ ত্বক, ব্রণ-ফুসকুড়িতে ভরে যায় অল্প দিনেই। মুখে-হাতে কালো দাগছোপও পড়ে।
তা হলে কী করণীয়? কর্মক্ষেত্রের থাকার সময়টুকুও ত্বকের দেখভাল করা জরুরি। শুধু অফিসের ড্রয়ারে রাখুন টুকটাক কিছু জিনিস। কাজের ফাঁকে দরকার মতো লাগিয়ে নিন। তাতেই ত্বক থাকবে পরিপাটি।
অফিসের ড্রয়ারে কী কী রাখবেন?
ময়েশ্চারাইজ়ার রেখে দিন
কাজের ফাঁকে মাঝেমধ্যেই শৌচাগারে যাচ্ছেন। হাতে-মুখে জল দিচ্ছেন। তার পর ফিরে আবার এসি ঘরে ঢুকে পড়ছেন। এতে ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়বে অল্প দিনে। ত্বকের পেলবতাও নষ্ট হবে। তাই অফিসের ড্রয়ারে ময়েশ্চারাইজ়ার রাখার চেষ্টা করুন। আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী বেছে নিন ময়েশ্চারাইজ়ার। ত্বক খুব শুষ্ক হলে ‘ওয়াটার-বেসড’ ময়েশ্চারাইজ়ারই মাখতে হবে। হাতে-মুখে জল দেওয়ার পরে হালকা করে ময়েশ্চারাইজ়ার মেখে নিন। দিনভর ত্বক তরতাজা থাকবে।
ঠোঁটের জন্য থাক লিপ বাম
খুবই জরুরি জিনিস। সারাদিন এসি ঘরে থাকলে ঠোঁটের চামড়া শুকিয়ে যায়। দেখবেন, পরিপাটি লিপস্টিক পরে এলেন। কিন্তু দিনের শেষে ঠোঁট শুকিয়ে ফুটিফাটা হয়ে গিয়েছে। তাই ড্রয়ারে অবশ্যই লিপ বাম রাখতে হবে। ঠোঁট শুকিয়ে গেলেই মেখে নিন। দেখবে ঠোঁট নরম ও আর্দ্র থাকবে।
কমপ্যাক্ট রাখলে ক্ষতি নেই
নিজের হাত ব্যাগে বা অফিসের ড্রয়ারে কমপ্যাক্ট রেখে দিতেই পারেন। এমনিও সকালে সেজেগুজে বেরোনোর পর, বাইরের রোদ, ধুলোধোঁয়ায় সাজটাই মাটি হয়ে যায়। ঘেমেনেয়ে অফিসে ঢুকে কাজ তো করতে বসলেন, যত সময় যাবে দেখবেন ত্বক তেলতেলে হয়ে যাচ্ছে। বাতানুকূল ঘরে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করলেও এমন হয়। দুপুরের দিকে যখন মুখ বেশ তেলতেলে দেখাতে শুরু করবে, তখন এক ফাঁকে মুখে হালকা কমপ্যাক্টের পাফ বুলিয়ে নিন। একেবারে তরতাজা লাগবে।
লিপস্টিক ছাড়া কি চলে!
হঠাৎ অফিস থেকে কোথাও বেরোতে হল অথবা বাইরে কাজে যেতে হল, তার জন্য লিপস্টিক রেখে দিন হাতের কাছে। মেকআপ উঠে গেলেও হালকা লিপস্টিকের ছোঁয়া লাবণ্য ধরে রাখবে।
সুগন্ধি রাখছেন তো?
ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে সব সময়ে হাতের কাছে ‘ডিয়োডোর্যান্ট’ রাখা ভাল। অফিসে এসে হয়তো দেখলেন, জামাকাপড় ঘামে ভিজে গিয়েছে। গন্ধ বার হচ্ছে। তখন টুক করে ‘ডিয়োডোর্যান্ট’ লাগিয়ে নিলেই তরতাজা লাগবে। আপনার ঘামের দুর্গন্ধ সহকর্মীদের অস্বস্তির কারণও তো পারে!
চুলের জন্য থাক সিরাম
সকালের তাড়াহুড়োয় শ্যাম্পু করতে পারেননি। চুল তেলতেলে দেখাচ্ছে। আবার বাইরে থেকে এসে দেখলেন, চুলে জটও পেকে গিয়েছে। তাই ড্রয়ারে হেয়ার সিরাম রেখে দেওয়া ভাল। অবাধ্য খসখসে চুলে সামান্য সিরাম মেখে মিলেই চুল নরম ও উজ্জ্বল দেখাবে। আর্দ্রতা বজায় রাখা, রুক্ষ চুল বশে রাখা, চুলের ডগা ফাটার মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে সিরাম।