চুলের চাই বিশেষ যত্ন, কী করবেন। ছবি: ফ্রিপিক।
এক মাথা ঘন, উজ্জ্বল ঢেউ খেলানো চুলের বদলে যেন রুক্ষ জটা শনের মতো উড়ছে। অনেকের আবার মাথার সামনে হালকা উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। রোজের যা ব্যস্ততা তাতে চুলের যত্নও নেওয়া হচ্ছে না ঠিক করে। ফলে চুল ঝরে যাচ্ছে অকালেই। বিজ্ঞাপন দেখে তেল, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার লাগিয়েও তেমন লাভ হচ্ছে না। তাহলে কী করণীয়?
যদি এক মাথা ঝলমলে চুলের ঢেউ খেলাতে চান তাহলে বাজারচলতি শ্যাম্পু, কন্ডিশনারে কাজ হবে না। বরং প্রাকৃতিক উপাদানেই চুল হবে নরম, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল। একটি খাবার যদি রোজ ডায়েটে রাখেন, তাহলেই একেবারে তারকাদের মতো চুল হবে।
চুল ওঠার সমস্যা নিয়ে নাজেহাল আট থেকে আশি। চুল উঠতে উঠতে অনেক সময় টাক পড়ে যায়। তাই চুল পাতলা হতে শুরু করলেই ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। খাদ্যাভ্যাসের উপর নির্ভর করে অনেক কিছুই।
চুল ভাল রাখতে আখরোটের জুড়ি মেলা ভার। ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ আখরোট চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। আখরোট নিয়মিত খেলে চুল পড়া বন্ধ হয়, অকালপক্কতা দূর হয়। চুলের রুক্ষভাবও দূর হয়।
আখরোটে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, ফাইবার রয়েছে। আছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও সোডিয়াম। এসব পুষ্টিগুণের জন্যই আখরোট ত্বক ও চুল ভাল রাখতে সাহায্য করে।
আখরোটের খোসাও নাকি চুলের জন্য খুবই উপকারি। জলে পরিমাণমতো আখরোটের খোসা ভিজিয়ে ফুটিয়ে নিন ১৫ মিনিট। তার পর ঠান্ডা করে একটি স্প্রে বোতলে ভরে নিন। চুলে ব্যবহারের সময়ে আখরোটের খোসা ফোটানো জলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা রোজ়মেরি তেল মেশাতে ভুলবেন না। ভালভাবে ঝাঁকিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে প্রাকৃতিক হেয়ার টোনার। নিয়মিত ব্যবহারে চুল পড়ার সমস্যা অনেক কমে যাবে।