চন্দনের গুণেই হবে চমৎকার। ছবি: সংগৃহীত।
রূপচর্চায় চন্দনের ব্যবহার সেই আদ্যিকাল থেকেই। নামী-দামি প্রসাধনীতে এখনও চন্দনের ব্যবহারের চল রয়েছে। চন্দন ব্রণ, ফুসকুড়ির হাত থেকে যেমন ত্বককে রক্ষা করে, তেমন ত্বককে ঠান্ডাও রাখে ভিতর থেকে। চন্দনে রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ, ত্বকে কোনও রকম সংক্রমণ হলেও চন্দন ব্যবহার করলে প্রদাহ দূর হয়। চন্দনের গুণের শেষ নেই। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় বা ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে চন্দনের জুড়ি মেলা ভার। জেনে নিন, ত্বকের কোন সমস্যায় কী ভাবে চন্দন ব্যবহার করলে উপকার পাবেন?
তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যায়
সারা বছরই ত্বক তেলেতেলে দেখায়? স্নানের আগে বা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে চন্দন বাটা কিংবা গুঁড়োয় গোলাপ জল মিশিয়ে সেই মিশ্রণ দশ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কয়েক দিনের টানা ব্যবহার করলেই ত্বকে পরিবর্তন চোখে পড়বে।
ব্রণর উপশমে
চন্দন ব্রণ, ফুসকুড়ির হাত থেকে যেমন ত্বককে রক্ষা করে, তেমন ত্বককে ঠান্ডাও রাখে ভিতর থেকে। ছবি: শাটারস্টক।
ব্রণর সমস্যায় মোক্ষম দাওয়াই হতে পারে চন্দন। চন্দনের সঙ্গে টোম্যাটো মেটে নিয়ে ত্বকের তেলতেলে ভাব কমিয়ে ব্রণ ও র্যাশ কমাতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত ব্রণর সমস্যা থাকলে, চন্দনের সঙ্গে বিউলির ডাল ও গোলাপ জলের প্যাক বানিয়ে আধ ঘণ্টা মুখে লাগিয়ে রাখুন। তার পর পরিষ্কার করে নিন। তবে এক বারেই ম্যাজিক হবে না, ধৈর্য নিয়ে নিয়ম করে ব্যবহার করতে হবে এই ফেসপ্যাক।
ট্যান দূর করতে
রোদে পোড়া ত্বক মেরামতেও চন্দনের জুড়ি নেই। গোলাপ জল, অল্প টক দই, শসার রসের সঙ্গে চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিন পাঁচেকের মধ্যেই ট্যান দূর হবে এই প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করলে।