গরমে তাতেই ভাল থাকবে ত্বক। প্রতীকী ছবি।
গ্রীষ্মকাল অনেকেরই পছন্দের ঋতু। কপাল বেয়ে নেমে আসা ঘাম আর মাথার উপর চড়া রোদ থাকলেও, গরমকালে বেশ স্বচ্ছন্দ বোধ করেন অনেকেই। প্রতিটি মরসুমেরই কিছু না কিছু প্রভাব শরীরের উপর পড়ে। তবে গরমকালে সুস্থ থাকতে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। শুধু শরীর নয়, ত্বকের যত্নেও কড়া নজর দেওয়া প্রয়োজন। ক্ষতিকর সূর্যরশ্মি থেকে ত্বক আড়াল করতে অনেকই ভরসা রাখেন নামীদামি সংস্থার প্রসাধনীর উপর। তবে এই ধরনের প্রসাধনীর বিকল্প হিসাবে চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখা যায় কয়েকটি ঘরোয়া টোটকার উপর। গরমে তাতেই ভাল থাকবে ত্বক।
চিনির স্ক্রাবার
ত্বক ভাল রাখতে রোজের রূপরুটিনের অন্যতম অঙ্গ হল এক্সফোলিয়েশন। মৃত কোষ দূর করে ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে সপ্তাহে অন্তত দু’দিন স্ক্রাব করা প্রয়োজন। চিনি শরীরের জন্য ক্ষতিকর হলেও স্ক্রাবার হিসাবে দারুণ কাজ করে। বাদামি চিনির সঙ্গে মধু মিশিয়ে সপ্তাহে দু’দিন ব্যবহার করুন। ত্বকের মরা চামড়া দূর হয়ে ত্বকে হয়ে উঠবে কোমল ও মসৃণ।
গরমে ত্বকের যত্নেও কড়া নজর দেওয়া প্রয়োজন। প্রতীকী ছবি।
অ্যালোভেরা জেল
চড়া রোদে বাইরে গেলে সূর্যের তাপে ত্বক পুড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক। ত্বকে ট্যান হয়ে যাওয়ার ভয়ে বাড়ি বসে থাকা যায় না। সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের ক্ষতি করে। তাই ‘সানবার্ন’ আটকাতে ব্যবহার করুন সানস্ক্রিন। এ ছাড়াও ঘরোয়া উপায়ে রোদে পোড়া দাগ তুলতে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। অল্প জেল নিয়ে ত্বকে ভাল করে মালিশ করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জলে মুখ ধুয়ে নিন। এতে ত্বক ভিতর থেকে ঠান্ডা থাকবে।
টম্যাটো ও দইয়ের প্যাক
কাজের প্রয়োজনে বাইরে বেরোতেই হচ্ছে। সানস্ক্রিন ব্যবহার করার পরেও ট্যান পড়ছে ত্বকে। চটজলদি ত্বকের ট্যান তুলতে আপনার ভরসা হতে পারে টম্যাটো ও দইয়ের ফেসপ্যাক। এই দুটি উপাদানেই রয়েছে ভিটামিন সি। ত্বকের যত্নে ভিটামিন সি-র জুড়ি মেলা ভার। টম্যাটোর রস ও টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে মাস্কের মতো মুখে লাগিয়ে রাখুন। আধ ঘণ্টা রেখে শুকিয়ে এলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের হারিয়ে যাওয়া জেল্লা ফিরে পেতে অসাধারণ কাজ করে এই ফেসপ্যাকটি।