মিমির মতো ঘন ভুরু পেতে কি করবেন? ছবি: সংগৃহীত।
চোখের সৌন্দর্য অনেকটাই নির্ভর করে ভুরু যুগলের উপর। আগে একেবারে নরুনের ফলার মতো সরু ভুরু আঁকার চল থাকলেও এখন ঘন ভুরুই ফ্যাশন। ভুরুর ঘনত্ব সকলের এক রকম হয় না। বার বার ভুরু তোলার ফলেও অনেক সময়ে ভুরুর ঘনত্ব কমে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতে ক্যাস্টর অয়েল এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে ব্যবহার করা শুরু করেছেন। কিন্তু পুজোর আগে মনের মতো ঘনত্ব যদি না আসে, তা হলে ভুরু এঁকেই কাজ চালাতে হবে। ভুরু আঁকা কিন্তু মোটেই সহজ কাজ নয়। কী ভাবে দক্ষ রূপটান শিল্পীদের মতো নিখুঁত করে ভুরু আঁকতে হয়, তা জানা আছে কি?
ভুরু আঁকার প্রাচীনতম প্রসাধনী হল আইব্রাও পেন্সিল। ছবি: সংগৃহীত।
১) টুইজ়ার
নায়িকাদের মতো ঘন ভুরু পেতে গেলে আগে কথায় কথায় ভুরু প্লাক করা চলবে না। বদলে, ভুরুর অতিরিক্ত লোম তোলার জন্য টুইজ়ার ব্যবহার করা যেতে পারে।
২) স্পুলি
ভুরুর লোম আঁচড়ানোর জন্যে বিশেষ এক ধরনের ব্রাশ পাওয়া যায়। শেষ হয়ে যাওয়া মাস্কারার ব্রাশ, গরম জল এবং তরল সাবান দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিয়ে স্পুলির মতো ব্যবহার করতে পারেন।
৩) আইব্রাও পেন্সিল বা পাউডার
ভুরু আঁকার প্রাচীনতম প্রসাধনী হল আইব্রাও পেন্সিল। আইব্রাও কেক, পাউডার, টিন্টের যুগে এখনও অনেকেই এই পেন্সিল ব্যবহার করেন। তবে ভুরু যুগলের ঘনত্ব বাড়িয়ে তুলতে চাইলে পাউডার ব্যবহার করাই শ্রেয়।
৪) আইব্রাও জেল
ঘামে, হাওয়ায় বা জল লেগে এঁকে নেওয়া ভুরুর আকার যেন নষ্ট না হয়, তাই নায়িকাদের ভুরুতে বিশেষ এক ধরনের জেল ব্যবহার করা হয়। এই জেল অনেকটা হেয়ার স্প্রের মতো কাজ করে।
৫) সরু মুখের কাঁচি
স্পুলি দিয়ে ভুরুর লোম আঁচড়ানোর পর যদি চোখে অসমান লাগে, সে ক্ষেত্রে সরু মুখের কাঁচি দিয়ে ভুরু ট্রিম করে নিতে হবে।
৬) কনসিলার বা হাইলাইটার
ভুরুর ঠিক নীচে যে হাড়টি রয়েছে, সেই অংশটিতে হাইলাইটার ব্যবহার করতে পারেন। অনেকে আবার কনসিলারও ব্যবহার করেন। যাতে আঁকা ভুরু আরও সুন্দর এবং নিখুঁত দেখায়।