শুধু পর্দায় নয়, বয়স ধরে রাখতেও সফল রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।
আগামী অক্টোবরে ৪৯-এ পা দেবেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫০-এর এত কাছে গিয়েও কিন্তু তাঁর ছিপছিপে চেহারা আর মসৃণ ত্বক সকলের নজর কাড়ে। বয়স প্রায় ধরাই দেয় না তাঁর চেহারায়।
বয়স ধরে রাখা সহজ নয়। কিন্তু ‘দিদি নং ওয়ান’ পেরেছেন। কী ভাবে নিজের রূপের জেল্লা ধরে রেখেছেন তিনি? রচনার রূপরুটিন জানতে চান তাঁর দর্শকেরা। নায়িকাকে সামনে পেলে সে প্রশ্নও করেছেন অনেকে। কিন্তু সন্তর্পণে তা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে সম্প্রতি নিজের রূপরুটিন নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে অকপট হলেন রচনা। নায়িকা বলেন, ‘‘আমি প্রথম থেকেই ঘরোয়া উপাদান দিয়েই রূপচর্চা করে এসেছি। কাঁচা হলুদ, নিম, ওট্স, দই, গোলাপের পাপ়ড়ি, এ সব দিয়েই ত্বকের যত্ন নিতাম। সুফলও পেয়েছি। আমরা এমন একটা পেশার সঙ্গে যুক্ত, যেখানে দিনের অনেকটা সময় ক্যামেরার চড়া আলোর মধ্যে কাটাতে হয়। সেই সঙ্গে মেকআপ তো রয়েছেই। এ সবের মধ্যে ত্বক ভাল রাখা সত্যিই চ্যালেঞ্জের। তবে আমি সারা জীবন ঘরোয়া টোটকাতেই ভরসা রেখেছিলাম বলে কোনও সমস্যা হয়নি। প্রতিটি প্যাক আমি নিজের হাতেই বানাতাম।’’
রচনা শুরু করলেন তাঁর নতুন পথচলা। ছবি: সংগৃহীত।
রচনার সৌন্দর্যের রহস্য এ বার কৌটোবন্দি হয়ে এল সকলের কাছে। রচনা শুরু করলেন তাঁর নতুন পথচলা। বাজারে আনলেন নিজের প্রসাধনী সংস্থা ‘রচনা’জ় কেয়ার’। সোমবার, আনুষ্ঠানিক সূচনা হল এই সংস্থার।
সানস্ক্রিন, নাইটক্রিম, কেশর এবং শসা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন ধরনের জেল, ব্যথার তেল— রচনার এই সংস্থার মোট সাতটি সামগ্রী বাজারে এসেছে। পরবর্তী কালে আরও বেশ কিছু প্রসাধনী তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান অভিনেত্রী। চুলের যত্ন নেবে, এমন প্রসাধন সামগ্রীও আছে। নারী এবং পুরুষ উভয়েই এগুলি ব্যবহার করতে পারবেন। রচনা জানালেন, প্রতিটি প্রসাধনীর উপকরণই প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি।
বাজারে প্রসাধনী সংস্থার অভাব নেই। অনেকেই দীর্ঘ দিন ধরে নির্দিষ্ট কোনও সংস্থার প্রসাধন ব্যবহার করেন। কিন্তু প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এই সংস্থার বিশেষ মন্ত্র কী? রচনা বলেন, ‘‘আমার সংস্থার প্রতিটি জিনিস একবারে ঘরোয়া উপাদানে তৈরি। কৃত্রিমতার কোনও ছোঁয়া নেই। আমি এত দিন যা ব্যবহার করে এসেছি, সেগুলি দিয়েই প্রতিটি জিনিস তৈরি হয়েছে। সকলের যদি মনে হয় আমি ত্বকের যত্ন নিতে পেরেছি, তা হলে এগুলি এক বার ব্যবহার করতে দেখতে পারেন।’’