ত্বকের যত্নে চালের গুঁড়ো। ছবি: সংগৃহীত।
ত্বকে জেল্লা আনতে কত কিছুই না ব্যবহার করেন অনেকে। কিন্তু কোনও কিছুই বিশেষ লাভজনক হয় না। তাতেই হতাশ হয়ে পড়েন অনেকে। অথচ হাতের কাছে চালের গুঁড়ো থাকতে, এত চিন্তা কিসের! চালের গুঁড়ো দিয়ে হরেক পিঠে তো বানিয়েছেন, কিন্তু ত্বকের পরিচর্যায় চালের গুঁড়ো যে ব্যবহার করা যায় তা অনেকেই জানেন না। চালের গুঁড়ো তৈলাক্ত এবং ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কারণ চালের গুঁড়ো ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। এ ছাড়াও এতে আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা র্যাশ, চুলকানির মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। ত্বকের পরিচর্যায় চালের গুঁড়োর ভূমিকা দীর্ঘ। কিন্তু কোন ধরনের ত্বকে, কী ভাবে ব্যবহার করবেন, সেটা জানেন কি?
স্পর্শকাতর ত্বক
যেকোনও উপকরণ এই ধরনের ত্বকে ব্যবহার করা যায় না। ভেবেচিন্তে মাখা জরুরি। সেক্ষেত্রে চালের গুঁড়োর সঙ্গে টক দই ব্যবহার করতে পারেন। ২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়োর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ দই মিশিয়ে ত্বকে মেখে ১০ মিনিট মতো অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে এলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে কয়েক বার ব্যবহারে ত্বকে আসবে জেল্লা।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য
তৈলাক্ত ত্বকের যত্ন নিতে হবে সতর্ক হয়ে। চালের গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন। চালের গুঁড়ো আর মুলতানি মাটি একসঙ্গে মিশিয়ে, তাতে কয়েক ফোঁটা গোলাপজল দিয়ে থকথকে মিশ্রণ বানিয়ে নিন। তার পর ত্বকে মেখে ৫-১০ মিনিট অপেক্ষা করার পর ধুয়ে ফেলুন। ব্রণর ঝুঁকি কমবে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য
গরমে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়। তাই একটু বাড়তি যত্ন দরকার হয়। চালের গুঁড়ো শুষ্ক ত্বকে কোমলতা আনতে পারে। ১ টেবিল চামচ চালের গুঁড়োর সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে একটা মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এই প্যাকটি ত্বকে মেখে অন্য কাজে হাত দিতে পারেন। তবে বেশি ক্ষণ নয়। ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে নিলেই ত্বক মসৃণ হবে।