মশলার গুণেই কমবে সর্দি-কাশি। ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষা আসতে আর দেরি নেই। দু-এক পশলা করে বৃষ্টি রোজই হচ্ছে। অসহনীয় গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে বর্ষার অপেক্ষায় বাঙালি। গরম কমলেও, বর্ষায় রয়েছে অন্য সমস্যা। এই সময় সংক্রমণজনিত রোগবালাইয়ের ঝুঁকি বেশি থাকে। সর্দি-কাশি থেকে পেটখারাপ, বাদ যায় না কিছুই। অসুস্থতা থেকে দূরে থাকতে খেয়াল রাখতে হবে নিজের। বিশেষ করে সর্দি-কাশির ধাত থাকলে বেশি সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। সেক্ষেত্রে ভরসা রাখতে পারেন হেঁশেলের তিন মশলার উপর। তিন মশলার গুণে ফিট থাকবে শরীর।
গোলমরিচ
সর্দি-কাশির অন্যতম ঘরোয়া দাওয়াই হল গোলমরিচ। ঠান্ডা লাগলেই গোলমরিচ দিয়ে ফুটিয়ে সেই জল খেলে দ্রুত সুস্থ হওয়া যায়। সর্দি-কাশির সঙ্গে লড়াই করতে পারে কারণ, গোলমরিচে রয়েছে ভিটামিন সি। গোলমরিচের মাধ্যমে এই ভিটামিন শরীরে যায়। ভিটামিন সি পর্যাপ্ত পরিমাণে পেতে গোলমরিচ ভরসাযোগ্য।
তেজপাতা
কষা মাংস কিংবা মাছের পাতলা ঝোল— ফোড়নে তেজপাতা না দিলে স্বাদ বাড়ে না রান্নায়। তেজপাতা শরীরের যত্ন নিতেও সমান পারদর্শী। তেজপাতায় রয়েছে ভিটামিন সি। তেজপাতার গুণে যে কোনও রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি পায় শরীর। ভিটামিন সি ছাড়াও এই পাতায় রয়েছে ফলিক অ্যাসিড। সুস্থ থাকার সঞ্জীবনী হতে পারে তেজপাতা।
লাল লঙ্কার গুঁড়ো। ছবি: সংগৃহীত।
লাল লঙ্কার গুঁড়ো
ঝাল পছন্দ না হলেও শীতে রান্নায় একটু লঙ্কার গুঁড়ো দিলে খেতে মন্দ লাগে না। খাবার দেখতেও বেশ লোভনীয় হয়। লঙ্কার গুঁড়োর কিন্তু স্বাস্থ্যগুণ কম নয়। লঙ্কার গুঁড়োয় রয়েছে ভিটামিন সি। যে কোনও অসুখ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে এই মশলা।