চুল ঝরার সমস্যা সর্বজনীন। ছবি: সংগৃহীত
বিভিন্ন কারণে দেশজুড়ে বাড়ছে বায়ুদূষণের মাত্রা। সেই তালিকায় পিছিয়ে নেই কলকাতাও। যানবাহনে ব্যবহৃত জীবাশ্ম-জ্বালানি, কলকারখানার বিষাক্ত ধোঁয়া, ধুলো বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। দূষিত বায়ু শুধু যে পরিবেশের ক্ষতি করছে, তা নয়। শরীরের অন্দরেও এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। ত্বকের ক্ষতি হচ্ছে। ব্রণ, র্যাশের মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সেই সঙ্গে সমান তালে পড়ছে চুলও।
চুল ঝরার সমস্যা সর্বজনীন। কমবেশি সকলেই ভুক্তভোগী। সারা বছরের তুলনায় বাজি, বারুদের কারণে উৎসবকালীন সময়ে আরও বেশি করে নাজেহাল করে তোলে এগুলি। এই ধোঁয়া এবং দূষণযুক্ত পরিবেশে এত যত্নে বড় করে তোলা চুল চোখের সামনে অকালে ঝরে যেতে দেখে কারই বা ভাল লাগে। চুলও বাড়তি যত্ন দাবি করে। কী ভাবে নেবেন চুলের সুরক্ষা?
বাইরে বেরোনোর আগে চুল ঢেকে রাখুন
দূষণের হাত থেকে চুল রক্ষা করতে চাইলে বাইরে বেরোনোর আগে মাথা ওড়না দিয়ে ঢেকে নিতে পারেন। তাতে অনেকটা সুবিধা হবে। গাড়ির ধোঁয়া থেকে বাতাসে মিশ্রিত নিকেল, সীসার মতো রাসায়নিক যৌগের সংস্পর্শে আসার কারণে মাথার ত্বকে জ্বালা, শুষ্ক হয়ে যাওয়া, অস্বস্তি, র্যাশের মতো কিছু সমস্যা তৈরি হয়। দীপাবলির সময় বাজি পোড়াতে গেলেও মাথায় চুলে স্কার্ফ জড়িয়ে নিতে পারেন। বারুদ মিশ্রিত ধোঁয়া চুলের ক্ষতি করে।
চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখুন
ধুলো, ধোঁয়া, দূষণ— চুলের সজীবতা হারিয়ে ফেলার অন্যতম কারণ। সৌন্দর্যের একটি অন্যতম অঙ্গ চুলের প্রসাধন। সেই চুল যদি নিজের জেল্লা হারিয়ে ফেলে, তা হলে মুশকিল। তাই চুলেরও চাই রক্ষাকবচ। সেই ভূমিকা পালন করতে পারে নারকেল তেল। চুলে তেল মাখার চল অনেকটাই উঠে গিয়েছে। চুল ভাল রাখতে এই তেলের গুরুত্ব কোনও দিন কমেনি। এ ছাড়াও শুধুমাত্র চুলের জন্য বাজারচলতি কিছু ময়েশ্চারাইজার পাওয়া যায়। সেগুলিও ব্যবহার করতে পারেন।
বেশি করে জল খান
চুল ভাল রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ হল পর্যাপ্ত জল খাওয়া। শরীরের জলের পরিমাণ কমে গেলে যে শুধু স্বাস্থ্যহানি হয়, তা নয়। এতে বারোটা বাজে চুলেরও। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুম, শরীরচর্চা, প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া, মানসিক উদ্বেগ থেকে দূরে থাকা— এগুলিও সমান ভাবে জরুরি।
চিনি কম খান
উৎসব মানেই পাতজুড়ে মিষ্টির ছড়াছড়ি। চিনি ত্বকের জন্য তো খারাপই, চুলের জন্যেও কম ক্ষতিকারক নয়। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার প্রবণতা চুল ঝরার কারণ হয়ে উঠতে পারে।