বিদ্যা বালান। ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর কেনাকাটা জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট, বড়বাজার বা হাতিবাগান— যেখানেই যান না কেন, সর্বত্রই এক অবস্থা। শাড়ি কিনতে যে দোকানেই ঢুকছেন, বেশি ক্ষণ এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেন না। দু-তিন জন ক্রেতাকে টপকে গিয়ে শাড়ি দেখতে হচ্ছে। এই অবস্থায় শাড়ি চেনা তো দূর, রং-ই পছন্দ করে উঠতে পারছেন না। যেটাতে হাত দি্তে যাচ্ছেন, পাশ থেকে অন্য কেউ এসে হাত বাড়িয়ে তুলে নিচ্ছেন। তবু তার মধ্যেও কাঞ্জিভরম শাড়ি কেনার শখ তো আর অপূর্ণ থাকতে পারে না! ভিড়, দরাদরি সামলে সাধ্যের মধ্যে আসল কাঞ্জিভরম শাড়ি বেছে নিতে গেলে কয়েকটি বিষয় মাথা রাখলেই হবে।
জাহ্নবী কাপুর। ছবি: সংগৃহীত।
১) আসল কাঞ্জিভরম সিল্কের রং উজ্জ্বল হয়। কাঞ্জিভরম শা়ড়ি কেনার সময় দেখে নিন, জরিতে লাল সুতো রয়েছে কি না। যদি না থাকে তা হলে বুঝতে হবে, শাড়িটি আসল কাঞ্জিভরম নয়। শাড়ির উল্টো পিঠে জরির সুতোর গিঁট থাকলে, তা আসল কাঞ্জিভরমের লক্ষণ।
২) শাড়ির আঁচলের কোনা থেকে বেশ কয়েক গোছা সুতো টেনে বার করে নিন। সেগুলি একত্র করে তার এক প্রান্ত আগুনের শিখার উপর ধরুন। যদি পোড়া চুলের মতো গন্ধ বেরোয় তা হলে বুঝবেন, সিল্কটি আসল। যদি কৃত্রিম কিছু মেশানো থাকে, তা হলে গন্ধ হবে প্লাস্টিক পোড়ার মতো।
৩) শাড়ি হাতে ধরে বুঝতে হবে। আসল কাঞ্জিভরম শাড়ি তৈরি করা হয় মালবেরি সিল্ক দিয়ে। কিছু ক্ষণ হাতে ঘষলেই তার মসৃণ, কোমল ভাব অনুভব করা যায়। কৃত্রিম সিল্ক হলে হাতে ধরে তফাত বুঝতে পারবেন সহজেই।
৪) নানা রঙের সুতোর মিশেলে এই সিল্ক তৈরি হয়। বিভিন্ন দিক থেকে আলো পড়লে এই শাড়ির জমির রং দেখতে বিভিন্ন রকম লাগে। যদি সিল্ক নকল হয়, তা হলে আলোর সঙ্গে শাড়ির রং বদলাবে না। সাদাটে দেখতে লাগবে।
৫) সিল্ক যত হালকা হবে, তা ততই নমনীয় ও সূক্ষ্ম হবে। কাঞ্জিভরম সিল্ক যদি কোনও ভাবে আংটির মধ্যে দিয়ে গলিয়ে ফেলতে পারেন, তা হলে বুঝতে হবে, সেই সিল্কটি অকৃত্রিম। যদি আটকে যায়, তা হলে বুঝবেন, তার মধ্যে অন্য কিছুর মিশেল রয়েছে। যে সিল্ক যত হালকা, তা তত ভাল মানের।