‘ডলি কি ডোলি’ ছবির দৃশ্যে সোনম কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
দেশ জুড়ে অনলাইনে প্রতারণা হার দিন দিন বেড়ে চলেছে। বিভিন্ন উপায় অনলাইনে প্রতারণার ফাঁদ পাতছে প্রতারকরা। সেই ফাঁদে পা দিচ্ছেন হাজার হাজার ভারতীয়। সম্প্রতি আমদাবাদে ঘটেছে এমনই এক ঘটনা। অনলাইনের এক ঘটকালি সংস্থার সূত্রে পেশায় সফ্টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এক যুবকের আলাপ হয় এক তরুণীর সঙ্গে। সেই তরুণীর পরামর্শে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেই প্রতারণার ফাঁদে পড়েন তরুণ।
দেশ জুড়ে অনলাইনে প্রতারণা হার দিন দিন বেড়ে চলেছে। ছবি: সংগৃহীত।
কুলদীপ পটেল নামে সেই ইঞ্জিনিয়ার ৯ সেপ্টেম্বর পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে এই প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ জানায়। যুবক পুলিশকে জানান, ঘটকালি সংস্থায় অদিতি নামে সেই মহিলার সঙ্গে তাঁর আলাপ হয় জুন মাসে। যুবক পুলিশকে বলেন, অদিতি তাঁকে জানিয়েছিল তিনি ইংল্যান্ডে আমদানি-রফতানির ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত। অদিতিই তাঁকে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন বলে পুলিশকে অভিযোগ জানিয়েছেন কুলদীপ। বেশি লাভের আশায় অদিতির কথাতেই কুলদীপ ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত এক়টি ওয়েবসাইটে নিজের নাম নথিভুক্ত করে সেখানে বিনিয়োগ করতে শুরু করেন। প্রথম বার ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগের পর কুলদীপের ৬৪০০ টাকা মতো লাভ হয়। তার পরে তিনি আরও বিনিয়োগ শুরু করেন। তার পরে মোট ১৮ ধাপে তিনি মোট ১ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে বসেন। ২০ জুলাই থেকে ৩১ অগস্টের মধ্যেই এই টাকা বিনিয়োগ করেন তিনি।
৩ সেপ্টেম্বর নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন কুলদীপ। বলা হয় কুলদীপের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ় করা হয়েছে। ওয়েবসাইটের যেই কর্মীর সঙ্গে তাঁর আগে যোগাযোগ হয়েছিল, বিপাকে পড়ে তাঁকে ফোন করেন কুলদীপ। সেই কর্মী কুলদীপকে বলেন, অ্যাকউন্ট ডি-ফ্রিজ় করতে হলে তাঁকে আরও ৩৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। তখন সন্দেহ হয় কুলদীপের। অদিতির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাঁর ফোন বন্ধ আসে। কুলদীপ বুঝে যান তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
ঘটকালি সংস্থায় কারও সঙ্গে আলাপ হওয়ার পর অনেকেই এ ধরনের প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। কোনও অপরিচিত ব্যক্তির সঙ্গে নিজের কোনও রকম গোপন তথ্য ভাগ করে নেওয়ার আগে আর একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে এ ক্ষেত্রে কোনও আর্থিক লেনদেনের আগে এ বিষয়ে দক্ষ কোনও পেশাদারের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।