(বাঁ দিকে) সারা আলি খান, জাহ্নবী কপূর (ডান দিকে)। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
পুজোর ক’দিন জমকালো শাড়ি, হালকা রূপটান, মানানসই গয়না পরার পরেও সাজ অসম্পূর্ণ থেকে যায়, যদি কপালে টিপ না থাকে। দুই ভুরুর মাঝখানে একটা ছোট্ট একটা টিপ সৌন্দর্যে আলাদা মাত্রা যোগ করে।
হিন্দু সংস্কৃতির ধারা অনুযায়ী ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে নিজস্ব ঘরানার ও বিভিন্ন কায়দার টিপ পরার রীতি বহু পুরনো। তবে টিপ এখন আর ‘সাংস্কৃতিক চিহ্ন’ নয়। চাকুরিরত টেকস্যাভি জেন-ওয়াই বাঙালি মহিলাদের কাছে 'বিন্দি' এখন ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’ শাড়ি, সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে টিপ পরার চল তো রয়েছেই। তবে অনেকেই পশ্চিমি পোশাকের সঙ্গেও স্বচ্ছন্দে টিপ পরেন। অনেকেই আলাদা করে তেমন রূপটান পছন্দ করেন না। চড়া মেকআপ পছন্দ না হলে কাজল, হালকা লিপস্টিক আর ছোট্ট টিপের সঙ্গেই সেরে ফেলা যায় পুজোর সাজ। বাজারে বিভিন্ন আকৃতির ও বিভিন্ন মাপের টিপ কিনতে পাওয়া যায়। সকলের মুখের গড়ন এক রকম নয়। তাই মুখের আকৃতি অনুযায়ী টিপ বাছাই না করলে সাজটাই মাটি হয়ে যেতে পারে। মুখের আকৃতি অনুযায়ী জেনে নিন, কোন ধরনের টিপ আপনাকে মানাবে।
চড়া মেকআপ পছন্দ না হলে কাজল, হালকা লিপস্টিক আর ছোট্ট টিপের সঙ্গেই সেরে ফেলা যায় পুজোর সাজ।
পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেমন স্থান-কাল-পাত্র দেখেন, টিপ বাছার ক্ষেত্রেও ঠিক তাই। ট্রেন্ডে আছে বলেই নয়, আপনার মেক-আপ ও মুখের গড়ন, এ দু’টি বিষয়ও কিন্তু খুব জরুরি। আর সবচেয়ে জরুরি আত্মবিশ্বাস।
গোল মুখে- বড় গোল টিপ একেবারে নয়, ছোট গোল টিপ চলতে পারে। লম্বা টিপ বেশি ভাল মানাবে।
বরফি আকৃতির মুখে- চওড়া কপাল, তীক্ষ্ণ চিবুক হলে বড় টিপ একেবারে নয়, ছোট গোল টিপ পরতে হবে।
ডিম্বাকার মুখে- সব টিপই মানাবে। তবে বেশি লম্বা টিপ না পরাই ভাল।
চৌকো মুখে- মুখের গড়ন যদি হয় চৌকো, তা হলে আবার লম্বাটে নয়, বরং গোল টিপ-ই বেশি ভাল লাগবে। তবে টিপের আকার যেন বড় না হয়। মুখের আকৃতি আয়তাকার হলে বড় টিপ পরতে পারেন। এমন মুখে সব ধরনের ও আকৃতির টিপই ভাল মানায়।
পানপাতার মতো মুখ- মুখের আকৃতি পান পাতার মতো হলে ছোট গোল টিপ পরলে দেখতে বেশি ভাল লাগবে। শাড়ির সঙ্গে অনেকেই বড় টিপ পরতে ভালবাসেন। এই আকৃতির মুখের সঙ্গে বড় টিপ কিন্তু একেবারেই মানাবে না।
পুজোর দিনগুলিতে গুঁড়ো টিপও পরতে পারেন। খানিকটা আবিরের মতো, বিভিন্ন রঙের এই টিপ দেশলাই কাঠি দিয়ে বিভিন্ন নকশা করে পরা পরে ফেলাই যায়।