শীতেও চুলে থাক মসৃণতার ছোঁয়া। ছবি: সংগৃহীত।
শীতে শুধু ত্বক নয়, শুষ্ক হয়ে যায় চুলও। শীতের বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি। ফলে ঘন ঘন টান ধরে ত্বকে। শুধু ত্বক নয়, চুলের অবস্থাও বেহাল হয়ে যায় শীতে। চুল অত্যধিক শুষ্ক হয়ে পড়ে। শুষ্ক চুলের সমস্যা যে শুধু শীতকালের, তা কিন্তু নয়। সারা বছরই এমন হতে পারে। রোদ, ধুলোবালি, দূষণ এর অন্যতম কারণ। রোজের ব্যস্ততার ফাঁকে আলাদা করে চুলের দিকে নজর দেওয়ার সময় পান না অনেকেই। শীতেও চুল মসৃণ করার উপায় রয়েছে। তবে তার জন্য প্রসাধনী ব্যবহার করতেই হবে, তার কোনও মানে নেই। বরং খাওয়াদাওয়ায় বদল আনলেই সুফল পাবেন।
জল খান বেশি করে
শীতে জল খাওয়ার কথা মনে থাকে না একেবারেই। তা ছাড়া এই সময়ে তেষ্টাও অনেক কম পায়। ফলে সারা দিন এক লিটার জলও শরীরে যায় কি না, সন্দেহ আছে। জলের অভাবে শরীর ভিতর থেকে শুকিয়ে যেতে থাকে। চুলেও এর প্রভাব পড়ে। তাই বেশি করে জল খেতে হবে। তাতে চুল এবং শরীর— দুয়েরই যত্ন হবে।
ভাজাভুজি কম খাওয়া
শীতে ভাজাভুজি খেতে মন চায়। সন্ধ্যা হলেই পকোড়া, কাটলেট খেতে ইচ্ছা করে। তবে এ ধরনের খাবার শীতে যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল। ডোবা তেলে ভাজা খাবার ঘন ঘন খেলে শরীর ভিতর থেকে শুকিয়ে যায়। তা ছাড়া, এ ধরনের খাবারে নুনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। নুন শরীরের জল শোষণ করে শুষ্ক করে তোলে। শরীর আর্দ্রতা হারায় বলে চুলও শুষ্ক হয়ে যায়।
মদ্যপানে রাশ টানুন
শীতকাল মানেই উৎসবের মরসুম। আর উৎসব উদ্যাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ হল মদ্যপান। অত্যধিক মদ্যপানের অভ্যাসে শরীর শুকিয়ে যেতে পারে। শারীরিক নানা সমস্যাও দেখা দেয়। এর ফলে চুলও অত্যধিক শুষ্ক হয়ে যায়। শীতেও চুলের জেল্লা ধরে রাখতে তাই মদ্যপানে খানিক রাশ টানুন।