—প্রতীকী ছবি।
চুল আঁচরাতে গেলেই মুঠো মুঠো চুল প়ড়ে যাচ্ছে। কপালের সামনের অংশটা ধীরে ধীরে ফাঁকা হয়ে আসছে। অকালেই টাক পড়ে যাওয়ার চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে লহমার। এই সমস্যা লহমার একার নয়। দূষণের বাড়বাড়ন্ত, খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, মানসিক চাপের জন্যই চুল পড়ার সমস্যা বাড়ছে। হরেক রকম নামী-দামি প্রসাধনী ব্যবহার করেও লাভের লাভ হচ্ছে না। ভরসা রাখতে পারেন কারিপাতায়। এই পাতার গুণেই চুলের গোড়া মজবুত হয়, চুল পড়়ার সমস্যাও কমে। কী ভাবে ব্যবহার করলে এই চটজলদি উপকার পাবেন?
১। আমলকি ও মেথির সঙ্গে: আধ কাপ কারিপাতা আর আধ কাপ মেথি পাতা ও একটি গোটা আমলকির রস একসঙ্গে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে নিন। মাথায় মিশ্রণটি মেখে নিয়ে আধ ঘণ্টা পর ঈষদুষ্ণ গরমজলে ধুয়ে নিন। কারিপাতায় ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন বি থাকে। এই ভিটামিন চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। আর আমলকি ও মেথি বাড়ায় চুলের ঘনত্ব।
—প্রতীকী ছবি।
২) টক দইয়ের সঙ্গে: একমুঠো কারিপাতা মিক্সিতে নিয়ে ভাল করে পেস্ট তৈরি করুন। এক টেবিল চামচ কারিপাতার মিশ্রণ আগের থেকে ফেটিয়ে রাখা টক দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। মাথার ত্বকে ভাল করে মেখে নিন এই মিশ্রণ। আধঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। টক দই মাথার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে এবং খুশকি ও মৃত কোষ দূর করতে এই প্যাক দারুণ কাজে আসে।
৩) পেঁয়াজের সঙ্গে: চুল পড়া বন্ধ করতে পেঁয়াজ ও কারিপাতার মিশ্রণ দারুণ কাজে আসে। এই মিশ্রণটি চুলে পাক ধরা আটকাতেও বেশ উপযোগী। ১৫-২০টি কারিপাতা একটি মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিয়ে ভাল করে বেটে নিন। এ বার পেস্টে দিয়ে দিন একটি গোটা পেঁয়াজের রস। ভাল করে মিশিয়ে চুল ও মাথায় মেখে নিন। এক ঘণ্টা রেখে ভাল করে শ্যাম্পু করে নিন।