বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে দীপিকা পাডুকোন (বাঁদিকে), আলিয়া ভট্ট (মাঝে) এবং কিয়ারা আডবাণী (ডানদিকে)। ছবি- সংগৃহীত
গরমের ছুটিতে ঘুরতে যাবেন। তার আগে এক প্রস্ত কেনাকাটা তো করতেই হবে। গরমের জায়গা থেকে ঠান্ডার জায়গায় যাবেন। আবহাওয়ার পরিবর্তনে হঠাৎ ঠান্ডা লাগা এড়াতে পোশাকও তেমন হতে হবে। পাশপাশি বাড়ি থেকে বেরোনো, ট্রেন বা বিমানে ওঠা থেকে সেখানে পৌঁছনো পর্যন্ত শতাধিক ছবি উঠবে, সেই সব ছবিতে যেন ‘ট্রেন্ডি’ লাগে। সে কথাও মাথায় রাখতে হবে। অভিনয়ের পাশাপাশি বলিউডে ফ্যাশন আইকন হিসাবে যথেষ্ট পরিচিত দীপিকা পাডুকোন, আলিয়া ভট্ট বা কিয়ারা আ়ডবাণীরা। বিমানে যান বা ট্রেনে, তাঁদের ‘এয়ারপোর্ট’ লুক কিন্তু যে কোনও জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার পক্ষে আদর্শ। তাঁদের মতো পোশাক তো পরবেন, তবে তা যেন আরামদায়ক হয়, সেই বিষয়টিও মাথায় রাখা জরুরি।
বিমানবন্দরের সামনে পাপারাৎজ়ির ক্যামেরায় বন্দি মালাইকা অরোরা খান। ছবি- সংগৃহীত
ঘুরতে যাওয়ার পোশাক কেনার আগে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন?
১) কাপড়ের ধরনের উপর জোর দিন
১০-১২ ঘণ্টা ধরে ট্রেনে, গাড়িতে বা বিমানে যাত্রা করতে হলে এমন পোশাক নির্বাচন করুন, যা পরে শরীরে কষ্ট হবে না। কখনও বসে, কখনও শুয়ে থাকা। এত ক্ষণ ধরে যাত্রা করার পর জামাকাপড় কুঁচকে যাওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু কোঁচকানো পোশাক পরে ছবি তুললে, তা দেখতে খারাপ লাগবে। তাই এমন কাপড়ের তৈরি জামা কিনুন, যেগুলি সুতির মতোই আরামদায়ক অথচ সহজে কুঁচকে যায় না।
২) পকেট যেন থাকে
হাতের সামনে টুকিটাকি জিনিস রাখার জন্য জামা বা ট্রাউজ়ারে পকেট থাকা আবশ্যিক। না হলে সামান্য মুখশুদ্ধি খাওয়ার ইচ্ছে হলেও আশপাশের যাত্রীদের অসুবিধা করে বড় ব্যাগ খুলতে হবে। লিপবাম, চকোলেট, পরিচয়পত্র— হাতের সামনে রাখতে গেলে পোশাকে পকেট দেওয়া পোশাক বেছে নেওয়া জরুরি।
৩) ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরা যায়
ঘুরতে গেলে বেশি পোশাক সঙ্গে নেওয়া যায় না। বিমানে চেপে কোথাও যাওয়ার ক্ষেত্রে মালপত্রের ওজনের উপরেও কড়াকড়ি থাকে। ওজন বেশি হয়ে গেলেই অতিরিক্ত টাকা গুনতে হয়। তাই এমন পোশাক নির্বাচন করুন, যা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরা যায়।