অ্যালো ভেরার গুণের শেষ নেই। ছবি: সংগৃহীত।
রূপচর্চায় অ্যালো ভেরার ভূমিকা অনবদ্য। যেকোনও নামীদামি সংস্থার প্রসাধনীকে দু’গোল দেবে ঘৃতকুমারী। ত্বক এবং চুলের যত্ন শুধু অ্যালো ভেরার উপর ভরসা রাখলেই হাতেনাতে সুফল মিলবে। আলাদা করে পার্লারে যাওয়ারও দরকার পড়বে না। ত্বক টান টান রাখতে অ্যালো ভেরা যতটা উপকারী, চুল ঝরা আটকাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। বহুযুগ আগে থেকেই অ্যালো ভেরার ব্যবহার এমন ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে রূপচর্চা ছাড়াও অ্যালো ভেরার আরও অনেক ভূমিকা রয়েছে। আর কী কী ভাবে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালো ভেরা?
মেকআপ তুলতে
ত্বক কোমল ও আর্দ্রতায় পরিপূর্ণ। বিশেষ করে স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে রূপটান তোলার সময় নরম এবং তরল সামগ্রী ব্যবহার করা জরুরি। সেক্ষেত্রে অ্যালো ভেরা অনবদ্য বিকল্প। একটি তুলোর টুকরোয় অ্যালো ভেরার জেল মাখিয়ে মুখে বুলিয়ে হালকা চাপ দিয়ে বুলিয়ে নিন। মেকআপ উঠে যাবে। ত্বকও ভিতর থেকে নরম থাকবে। শুধু রূপটানই নয়, রোজের ধুলো ময়লা তুলতেও একই ভাবে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালো ভেরা।
শেভিং ক্রিম হিসাবে
অ্যালো ভেরা থকথকে এবং তৈলাক্ত। শেভিং ক্রিম হিসাবে অনায়াসে ব্যবহার করা যায় অ্যালো ভেরা। তবে সরাসরি না ব্যবহার করাই শ্রেয়। গরম জল, অল্প তেল ও অ্যালো ভেরা জেলের মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে দাড়ি কাটার সময়। এটি যেহেতু প্রদাহ কমাতেও বেশ কার্যকর, তাই দাড়ি কাটার পর জ্বালাও কমে এতে।
দাঁতের যত্নে
অ্যালো ভেরার রস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথার উপশম করে থাকে। দাঁতে কোনও সংক্রমণ থাকলে অ্যালো ভেরার গুণে তা কমে যায়। দাঁত মজবুত করতেও অ্যালো ভেরা অনবদ্য। নিয়মিত অ্যালো ভেরার জুস খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করলে দাঁতের ক্ষয় আটকানো যায়।