যদি সন্ধ্যায় কোথাও বেরনোর থাকে, তবে সকালে দু’মিনিটে তৈরি করে ফেলুন সহজ ফেসপ্যাক। ছবি : সংগৃহীত।
উৎসব হোক বা না হোক, উজ্জ্বল হতে কে না চায়। পুজো যে হেতু অনেকের সঙ্গে দেখা হওয়ার সুযোগও দেয়, তাই আলাদা ভাবে নজর কাড়ার ইচ্ছে হতেই পারে। কিন্তু ইচ্ছে হলেই তো আর হল না। ইচ্ছেপূরণ হবে কী করে? বিশেষত, কাজের চাপে যাঁরা পার্লারের কাছাকাছিও পৌঁছনোর সুযোগ পাননি, তাঁরা পিছিয়ে থাকবেন, তা তো হতে পারে না! যদি সন্ধ্যায় কোথাও বেরনোর থাকে, তবে সকালে দু’মিনিটে তৈরি করে ফেলুন সহজ ফেসপ্যাক। রূপচর্চা শিল্পীরা বলছেন, এক বেলাতেই জেল্লা আসবে।
কী ভাবে বানাবেন ফেসপ্যাক?
আধ চা-চামচ ভাল হলুদ গুঁড়োর সঙ্গে এক টেবিলচামচ বেসন, এক চা চামচ দই আর কয়েক ফোঁটা মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে।
ব্যবহার করবেন কী ভাবে?
হালকা হাতে বা ব্রাশ দিয়ে সমান ভাবে মুখে গলায়-হাতে মেখে নিতে পারেন। ১৫ মিনিটের বেশি রাখবেন না। ১৫ মিনিট পরে জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
হলুদের ফেসপ্যাক মুখে লাগালে প্রথমেই ত্বকে একটা ঠান্ডা অনুভূতি হবে। ছবি: সংগৃহীত
হলুদ কী ভাবে কাজ করে?
হলুদের গুণের শেষ নেই। নিয়মিত হলুদ খাওয়াও শরীরের জন্য ভাল। হলুদের ফেসপ্যাক মুখে লাগালে প্রথমেই ত্বকে একটু ঠান্ডা অনুভূতি হবে। তা ছাড়া হলুদ ত্বকে লাগালে, ত্বকের রং উজ্জ্বল হয়, ব্রণ কমে, দাগ হালকা হয়, ত্বকের রন্ধ্রপথের মুখ বন্ধ করতে সাহায্য করে, ত্বককে গভীরে ঢুকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। হলুদের ফেসপ্যাক এক দিনেই মুখ মসৃণ এবং উজ্জ্বল করতে পারে।
মনে রাখুন
১। যদি ত্বকে অস্বস্তি বা জ্বালা ভাবের ভয় পান, তবে আগে পরীক্ষা করে দেখে নিন। কব্জিতে সামান্য হলুদের প্যাক লাগিয়ে কিছু ক্ষণ রাখার পরেও যদি কোনও সমস্যা না হয়, তার পরে মুখে ব্যবহার করুন।
২। বেশি ক্ষণ ব্যবহার করবেন না। ১৫ মিনিটই যথেষ্ট। বেশি সময় রাখলে মুখে হলদেটে ছাপ পড়তে পারে।
৩। নিয়মিত ব্যবহারে ফল মিলবে আরও ভাল। তা ছাড়া ত্বককে ভাল রাখতে রাসায়নিক মুক্ত এমন প্রাকৃতিক উপায় যত বেশি অবলম্বন করা যায়, ততই ভাল।