শিশুর ত্বকের পরিচর্যায় যে নিয়মগুলি অবশ্যই মানতে হবে। ফাইল চিত্র।
শিশুদের ত্বক খুবই সংবেদনশলী হয়। তাই তাদের কোমল ত্বকের জন্য বিশেষ যত্নেরই প্রয়োজন। শিশুর ত্বকের যত্নে যদি কোনও ভুল হয়, তা হলেই তাদের ত্বক শুষ্ক-খসখসে হয়ে যাবে, অথবা র্যাশ বেরিয়ে যাবে। বাবা-মায়েরা জেনে রাখুন, শিশুর ত্বকের পরিচর্যায় কোন কোন ভুল একেবারেই করা যাবে না।
১) বড়দের ময়শ্চারাইজ়ার, তেল বা সাবান ভুলেও শিশুর ত্বকের মাখাবেন না। ওই সব ক্রিম বা তেলে এমন রাসায়নিক থাকে, যা শিশুর কোমল ত্বকের জন্য সঠিক নয়। শিশুর জন্য ময়শ্চারাইজ়ার বা তেল কেনার আগে নিশ্চিত ভাবে দেখে নিতে হবে যে তাতে প্যারাবেন, থ্যালেট এবং রঞ্জকের মতো ক্ষতিকারক উপাদান আছে কি না। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত।
২) সানস্ক্রিন শিশুর ত্বকের জন্যও জরুরি। বাইরে নিয়ে গেলে অতি অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিনই কেনা উচিত। তবে সানস্ক্রিন সবার ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয়। সে ক্ষেত্রে শিশুকে সানস্ক্রিন লাগানোর আগে ত্বক চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ছয় মাসের কম বয়সি শিশুদের কখনওই সানস্ক্রিন লাগানো উচিত নয়। তার চেয়ে বরং চড়া রোদে শিশুকে নিয়ে বেরোবেন না। অথবা বেরোতে হলে গা ঢাকা, হালকা, সুতির জামা পরিয়ে দিন।
৩) দিনে একবার স্নানই যথেষ্ট। বার বার গরম জলে শিশুকে স্নান করাবেন না, এতে ত্বক খুব তাড়াতাড়ি শুষ্ক হয়ে যাবে। প্রতি দিন গরম জলে স্নান করানোরও দরকার নেই।
৪) শিশুকে নিয়মিত তেল মালিশ করতে হবে। তবে বাজারচলতি সুগন্ধী তেল নয়। নারকেল তেল শিশুর ত্বকের জন্য নিরাপদ। অনেকেই সর্ষের তেল মালিশ করেন, তবে এখন খাঁটি সর্ষের তেল তেমন ভাবে পাওয়া যায় না। তাই সর্ষের তেল ব্যবহার করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। অলিভ তেলও ব্যবহার করেন অনেকে। লোয়িক অ্যাসিডও কোনও কোনও শিশুর শরীরে অ্যালার্জি কিংবা র্যাশের কারণ হতে পারে।
৫) শিশুকে কখনওই সুগন্ধী বা ডিয়োডরেন্ট মাখাবেন না। সুগন্ধীর রাসায়নিক যেমন ফুসফুসের ক্ষতি করতে পারে, তেমনই শিশুর ত্বকে র্যাশ, একজ়িমা বা ‘অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস’-এর কারণও হতে পারে।