Skin Irritation Remedies

বর্ষায় ত্বকে র‌্যাশ-চুলকানি, বাড়ে এগজ়িমার সমস্যা, ওষুধ নয় সমাধান আছে ঘরোয়া টোটকাতেই

গরম ও বর্ষার সময়ে ত্বকের এমন অসুখ দেখা দেয়। আবার অ্যালার্জির কারণে অথবা বিশেষ কোনও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেও এমন হতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৫
Share:

ত্বকে চুলকানি, এগজ়িমার সমস্যা হলে কী কী নিয়ম মানবেন? ছবি: ফ্রিপিক।

বর্ষার সময়েই ত্বকের যত সমস্যা মাথাচাড়া দেয়। ত্বকে জ্বালা, ফেটে যাওয়া, চুলকানি, ত্বক শুকিয়ে খসখসে হয়ে যাওয়া, কখনও আবার ফোস্কাও পড়ে যায়। চিকিৎসার পরিভাষায় এরই নাম ‘অ্যাটপিক ডার্মাটাইটিস’। ত্বক চিকিৎসক অতুল তানেজার কথায়, কোভিডের সময়েও ত্বকে জ্বালা, র‌্যাশ হতে দেখা গিয়েছিল অনেকের। এগজ়িমার সমস্যাও ভুগিয়েছিল। বিশেষ করে গরম ও বর্ষার সময়ে ত্বকের এমন অসুখ দেখা দেয়। আবার অ্যালার্জির কারণে অথবা বিশেষ কোনও ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেও এমন হতে পারে। তার জন্য একগাদা ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই। ঘরোয়া উপায়েই ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল থাকতে পারে।

Advertisement

সাবান, শ্যাম্পু, বিভিন্ন রকম প্রসাধনী থেকে এগজ়িমা হতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুস্রাব চলাকালীন হরমোনের মাত্রা ওঠানামায় এগজ়িমার লক্ষণ বাড়ে। হাঁটু, কনুই , ঘাড়, গলা, নিতম্বে র‌্যাশ, প্রচণ্ড চুলকানি থেকে চামড়া খসখসে এবং পুরু হয়ে যাওয়ার উপসর্গ দেখা দেয়। ত্বক বেশি শুষ্ক হয়ে গেলে চুলকানিতে ঘা হতে পারে।

এগজ়িমা থেকে বাঁচতে

Advertisement

ত্বক ভাল রাখতে রোজের জীবনেই কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।

১) ত্বকের সমস্যা থাকলে সারা বছর ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করা ভাল। স্নান করার পরেই সারা শরীরে ভাল করে মেখে নিতে হবে ময়েশ্চারাইজ়ার। কী ধরনের ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করবেন, তা চিকিৎসকের থেকে জেনে নিতে হবে।

২) সব সময়ে পরা উচিত নরম সুতির জামাকাপড়। পোশাক নিয়মিত কেচে পরিষ্কার করাও জরুরি।

৩) চুলকানি ও প্রদাহ কমাতে উপযোগী হতে পারে অ্যালো ভেরা জেল। আক্রান্ত জায়গাগুলিতে ভাল করে মালিশ করতে হবে। সপ্তাহে তিন বার করলেই উপকার পাওয়া যাবে। তবে ত্বক বেশি স্পর্শকাতর হলে অ্যালো ভেরা ব্যবহারের আগে এক বার চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়া ভাল।

৪) বাজারচলতি ময়েশ্চারাইজ়ারে যদি অ্যালার্জি হয়, তা হলে নারকেল তেল ত্বকে লাগাতে পারেন। নিয়মিত নারকেল তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।

৫) এক চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ দই মিশিয়ে শুষ্ক, খসখসে ত্বকে মালিশ করুন। ১০ মিনিট অপেক্ষা করে পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিন। এতে র‌্যাশ, চুলকানির সমস্যা অনেক কমে যাবে।

৬) তীব্র ক্ষারযুক্ত সাবান, যা ত্বকের সব জল টেনে নিয়ে ত্বককে খসখসে করে তোলে, তেমন সাবান ব্যবহার করা যাবে না।

৭)ত্বক কোমল রাখার জন্য টি ট্রি তেল ভাল। তুলোয় ভিজিয়ে ত্বকের আক্রান্ত জায়গাগুলিতে লাগিয়ে রাখুন। তবে রক্ত পাতলা হওয়ার ওষুধ বা ডায়াবিটিসের ওষুধ খেলে, এই তেল ব্যবহার করবেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement