কিয়ারার জেল্লাদার চুলের গোপন রহস্য কী? ফাইল চিত্র।
‘কবীর সিংহ’ থেকেই বলিউড অভিনেত্রী কিয়ারা আডবাণীর অনুগামীর সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। তাঁর অভিনেয় ক্ষমতার পাশাপাশি ঝকঝকে চেহারাও নজর কেড়েছে সকলের। কিয়ারার ত্বক সত্যিই ঈর্ষণীয়। পাশাপাশি তাঁর কোমর ছাপানো ঘন ও জেল্লাদার চুলও দেখার মতোই। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে কিয়ারা জানিয়েছেন, তাঁর চেহারা অনেকটাই জিনগত, কিন্তু ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রচুর অর্থ খরচ করে নামী-দামি প্রসাধনী কেনেন না তিনি। বরং ভরসা রাখেন ঘরোয়া টোটকায়। ছোট থেকেই তাঁর চুলের যত্ন নিতেন মা। আর মায়ের টোটকাতেই এখনও পর্যন্ত চুলের পরিচর্যা করেন কিয়ারা।
হেঁশেলের কয়েকটি উপকরণ দিয়েই চুলের পরিচর্যা করেন কিয়ারা। বলেছেন, “ছোটবেলায় মা মাথায় ডিম ও দই মাখাত। আর তাতেই চুল নরম ও রেশমের মতো থাকত। এখনও এই টোটকাই ব্যবহার করি আমি। শুটিংয়ের যতই ব্যস্ততা থাক, সপ্তাহে নিয়ম করে দুই থেকে তিন দিন ডিম ও দই দিয়ে তৈরি হেয়ার মাস্ক লাগাই চুলে।”
চুল রুক্ষ হয়ে গেলে বা ডগা ফাটার সমস্যা দেখা দিলে, অথবা খুশকির সমস্যা হলে তার জন্য সবচেয়ে ভাল ওষুধই হল ডিম আর দই। এমনটাই জানালেন কিয়ারা। আঁশটে গন্ধের জন্য অনেকেই ডিম চুলে মাখতে চান না। কিন্তু ডিমের প্রোটিন চুলের গোড়া মজবুত করে। এতে থাকা ভিটামিন এ, ডি এবং কে মাথার তালুর স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ও চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তবে কিয়ারার মতো দই আর ডিম গুলে চুলে মেখে ফেললেই হবে না। নিয়ম মেনেই এই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
চুলের দৈর্ঘ্য যদি বেশি হয়, তা হলে দুটি ডিম লাগবেই। ছোট চুলের জন্য একটি ডিমই যথেষ্ট। চুল যদি প্রচণ্ড রুক্ষ ও নির্জীব হয়, তা হলে ডিমের কুসুমই বেশি কাজে আসবে। আবার তৈলাক্ত চুল যাঁদের এবং খুশকির সমস্যা বেশি, তাঁদের জন্য ডিমের সাদা অংশই বেশি ভাল। চুলের প্রকৃতি বুঝেই ডিম ব্যবহার করা উচিত।
কিয়ারার স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের আরও একটি গোপন রহস্য হল তেল মালিশ। অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ছোট থেকে চুলে তেল মালিশ করতেন তাঁর মা। সপ্তাহে অন্তত একদিন চুলে ভাল করে তেল মালিশ করা জরুরি বলেই মনে করেন কিয়ারা।