অফিসে কেমন হওয়া উচিত সাজপোশাক। ছবি: ফ্রিপিক।
পুরুষেরাও এখন ফ্যাশনের ব্যাপারে বেশ উৎসাহী। অফিস হোক বা উৎসব-অনুষ্ঠান, মেয়েদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছেলেরাও এখন সাজছেন। নামী সংস্থার পোশাক, ঘড়ি, জুতো পরলেই হল না, কোথায় যাচ্ছেন সেই অনুযায়ী পোশাকও বেছে নিতে হবে। প্রতি দিন অফিস যাওয়ার সময়ে কোনওরকমে জামাকাপড় গলিয়ে চলে যাওয়ার অভ্যাস অনেক ছেলেরই আছে। কখন শার্ট গুঁজে পরবেন আর কখন ছেড়ে, কেমন প্যান্ট পরবেন, কী ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করবেন, সে বিষয়ে ধারণা থাকা জরুরি। না হলে বেমানান লাগবে। জেনে নিন, অফিস যাওয়ার সময়ে ছেলেরা সাজপোশাকে কী কী ভুল করেন।
১) হাফহাতা শার্টের সঙ্গে টাই যে একেবারেই বেমানান, এই ধারণা অনেকেরই নেই। এই ভুল একেবারই করবেন না।
২) অফিসে কি টি-শার্ট গলিয়ে চলে যান? টি-শার্ট খুবই আরামদায়ক পোশাক নিঃসন্দেহে, কিন্তু অফিসের জন্য একেবারেই মানানসই নয়। অফিসে ফুল হাতা বা হাফহাতা ফর্ম্যাল শার্ট পরাই উচিত। বিভিন্ন রকম নকশা করা বা জরির কাজের শার্ট অফিসে না পরাই ভাল।
৩) জুতো এবং বেল্টের রঙেও সামঞ্জস্য থাকা চাই। যে রঙের বেল্ট, সেই রঙেরই জুতো পরার চেষ্টা করুন। তাড়াহুড়োয় এক রঙের বেল্টের সঙ্গে অন্য রঙের জুতো গলিয়ে বেরিয়ে পড়েন অনেকেই। দেখতে মোটেও ভাল লাগে না।
৪) ঢলঢলে শার্ট বা ব্লেজ়ার অফিসের জন্য বেমানান। ঢলঢলে বা ব্যাগি শার্ট যে কোনও পার্টি বা অনুষ্ঠানে পরতে পারেন, কিন্তু অফিসে নয়। তেমনই বড় মাপের ব্লেজ়ারও দেখতে ভাল লাগে না। অফিসে যদি ব্লেজ়ার পরতেই হয়, তা হলে সঠিক মাপের কিনুন। আপনার মাপের চেয়ে ছোট বা বড় কোনওটিই ভাল লাগবে না। আবার এমন পোশাক পরবেন না, যা শরীরের সঙ্গে এঁটে থাকে।
৫) ফুলহাতা শার্টের হাতা গুটিয়ে পরতে বেশ পছন্দ করেন পুরুষেরা। তবে হাতা গোটানোর ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে, হাতা দু’টি যেন সমান ভাবে গোটানো হয়। অসমান ভাবে হাতা গোটালে দেখতে খারাপ লাগবে।
৬) বেমানান জুতো একেবারেই পরবেন না। যে ধরনের পোশাক পরছেন, সেই অনুযায়ী জুতো পরা উচিত। শার্ট-প্যান্টের সঙ্গে চটি বা স্পোর্টস শু পরে অফিস যাওয়া ঠিক নয়।
৭) সাজগোজের পাশাপাশি সুগন্ধি বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে। পোশাক পরার আগে বডি স্প্রে বা রোল অন ডিয়োডোর্যান্ট লাগাতে ভুলবেন না। সারা দিন চনমনে থাকতে হলে পোশাকের উপরেও সুগন্ধি ব্যবহার করুন।