১৫ টি কসমেটিক অস্ত্রোপচারের মধ্যে দিয়েও যান। ছবি-সংগৃহীত
২৮ বছর বয়সি চেরি লি। কোরিয়ার বাসিন্দা। চেরির জীবনের অন্যতম অনুপ্রেরণা কিম কার্দাশিয়ান। জীবনের প্রতি পদক্ষেপে চেরি কিমকেই অনুসরণ করেন। চেয়েছিলেন কিমের মতো নিজেকে গড়ে তুলতে। সেই অদম্য ইচ্ছে থেকেই ভোলবদলের সিদ্ধান্ত। ১৫ টি কসমেটিক অস্ত্রোপচারের মধ্যে দিয়েও যান। এতগুলি অস্ত্রোপচার করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা। চেরি তাঁর প্রথম অস্ত্রোপচারটি করেন ২০ বছর বয়সে। চোখের পাতা থেকে স্তন— শরীরের প্রতিটি অঙ্গ কিম কার্দাশিয়ানের মতো করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন তিনি।
১০টি অস্ত্রোপচারের পর ধীরে ধীরে নিজের বাহ্যিক পরিবর্তন টের পান চেরি। আয়নায় দেখলে নিজের মধ্যে প্রিয় অভিনেত্রীর ছায়া দেখতে পেতেন তিনি। পুরোপুরি কিম হয়ে উঠতে না পারলেও, একটা আদল যে তিনি পেয়েছেন তা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী চেরি। কিন্তু নিজেকে বদলে ফেলার ইচ্ছে কি শুধু কিমের প্রতি ভালবাসা থেকে, না কি অন্য কোনও কারণ আছে?
চেরি জানিয়েছেন, চটকদার সুন্দরী না হওয়ায় প্রেমিক তাঁকে ছেড়ে চলে যান। তার পর থেকেই নিজেকে বদলে ফেলার জেদ চেপে বসে তাঁর মধ্যে। তার জন্য সামনে একটি উদাহরণ চাই। অনেক ভেবেচিন্তে তাই বেছে নিলেন পছন্দের অভিনেত্রীকে। এখন অবশ্য সেই প্রেমিক ফিরে আসতে চাইছেন। তবে চেরি চান না। কোনও সম্পর্কে আপাতত যেতে চান না তিনি। জীবন নিয়ে তাঁর অন্য পরিকল্পনা রয়েছে বলেই জানিয়েছেন চেরি।