দু’জনের দেহ মিলিয়ে আটানব্বইটি অলঙ্কার রয়েছে ভিক্টর হুগো ও গ্যাব্রিয়েলা পেরলটার শরীরে। —ফাইল চিত্র
ভিক্টর হুগো ও গ্যাব্রিয়েলা পেরলটার আলাপ প্রায় চব্বিশ বছর আগে, ১৯৯৮ সালে। মোটরসাইকেল নিয়ে হওয়া একটি আলোচনাসভাতে। প্রথম দেখাতেই পরস্পরকে মনে ধরে যায়। পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হওয়ার মূল কারণ, দু’জনেই দেহে বিভিন্ন রকম বদল আনতে পছন্দ করেন। বছর দশেক একসঙ্গে থাকার পর ১৪ বছর আগে বিয়ে করেন দু’জন। দেহে সবচেয়ে বেশি অলঙ্কার গেঁথে নেওয়া জুটি হিসাবে রেকর্ড গড়লেন তাঁরা। বর্তমানে দু’জনের দেহ মিলিয়ে আটানব্বইটি অলঙ্কার রয়েছে তাঁদের শরীরে।
জন্মসূত্রে উরুগুয়ের বাসিন্দা ভিক্টর। গ্যাব্রিয়েলার বাড়ি আর্জেন্টিনায়। ২০১৪ সালেও এক বার বিবাহিত দম্পতি হিসাবে রেকর্ড গড়েছিলেন তাঁরা। তখন তাঁদের দেহে ফোটানো বিভিন্ন ধরনের অলঙ্কারের মোট সংখ্যা ছিল চুরাশি। তার পর আরও চোদ্দটি বেশ কিছু অলঙ্কার নিজেদের শরীরের বসিয়েছেন তাঁরা।
একসঙ্গে গ্যাব্রিয়েলা পেরাল্টা এবং তার স্বামীর দেহে রয়েছে পঞ্চাশটি পিয়ারসিং। রয়েছে ৮টি মাইক্রোডার্মাল পদ্ধতিতে ত্বকে বসানো অলংকার। চোদ্দটি বডি ইমপ্লান্ট, শুধু ত্বক নয়, দাঁত ও চোখেও বিভিন্ন রকম বদল এনেছেন দম্পতি। মাড়িতে ৫টি ডেন্টাল ইমপ্লান্ট করেছেন তাঁরা। স্ক্লেরাস বা চোখের সাদা অংশে করিয়েছেন ট্যাটু। দু’জনই কৃত্রিম ভাবে লম্বা করেছেন কান, ২টি করে দুলও পরেছেন কানে, জিহ্বাতে বসিয়েছেন কাঁটা। তবে এখনই থামতে চান না দম্পতি। যুগলবন্দিতে শীঘ্রই শতরান করবেন, আশা তাঁদের।