ব্রণর সমস্যা থাকলে ত্বক পরিচর্যার কোন উপাদানগুলি নৈব নৈব চ?
পরিণত বয়সেও নিয়মিত ব্রণ হচ্ছে? শীত হোক কিংবা গরম, কোনও ঋতুতেই পিছু ছাড়ছে না এই সমস্যা। কেবল তা-ই নয়, ব্রণ চলে গেলেও রয়ে যাচ্ছে কালচে দাগ। কিন্তু এই বয়েসেও ত্বকে ব্রণ হয় বা কেন, এত যত্ন নেওয়ার পরেও কেনই বা ত্বক থেকে ব্রণর সমস্যা রোধ হয় না, তা অনেকেরই প্রশ্ন। দৈনন্দিন জীবনে খাওয়া-দাওয়া, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, দূষণ— সব কিছুর উপরই নির্ভর করে ত্বকের স্বাস্থ্য। তাই ত্বক ভাল রাখতে চাইলে আপনাকে এখনই জীবনচর্যায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে।
ব্রণর হাত থেকে রেহাই পেতে অনেকেই নামী-দামি প্রসাধনীর পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু টোটকাও ব্যবহার করেন। সব ধরনের প্রসাধনী সব ধরনের ত্বকের জন্য মোটেও ভাল নয়। বিশেষত যাঁদের ত্বকে ব্রণর সমস্যা রয়েছে রয়েছে, তাঁদের রূপচর্চার সামগ্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সজাগ থাকতে হয়। নইলে ত্বকের বারোটা বাজতে সময় লাগবে না!
ব্রণর সমস্যা থাকলে রূপচর্চায় কোন কোন উপাদান এড়িয়ে চলবেন?
এসেনশিয়াল অয়েল: ইদানীং ত্বকের পরিচর্যায় এসেনশিয়াল অয়েলের ব্যবহার বেড়েছে। তবে আপনার যদি ত্বকে ব্রণর বাড়বাড়ন্ত হয়, সে ক্ষেত্রে এসেনশিয়াল অয়েল এড়িয়ে চলাই ভাল। এতে সাধারণত আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা ব্রণর সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে একান্তই যদি লাগাতেই হয়, তা হলে জোজোবা, হেম্প ও হেজেলনাট অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
প্রতীকী ছবি।
প্যারাবিন: অনেক প্রসাধনী সামগ্রীতে প্যারাবিন ব্যবহার করা হয়। প্রসাধনীর স্থায়িত্ব বাড়াতে এই উপাদানটি ব্যবহার করা হয়। তবে আপনার ব্রণর সমস্যা থাকলে এই উপদান সেই সমস্যা আরও বাড়িয়ে দেবে। তাই প্রসাধনী কেনার আগে দেখে নিন তাতে প্যারাবিন আছে কিনা!
কোকো বাটার ও নারকেল তেল: এই দুই উপাদান শুষ্ক ত্বকের জন্য খুব ভাল। তবে তৈলাক্ত ত্বকে এই উপাদানগুলি ব্যবহার না করাই ভাল। এইগুলি ত্বকের রন্ধ্রছিদ্রগুলিকে বন্ধ করে দেয়। ফলে ব্রণর সমস্যা আরও বাড়ে।