ব্রণ নয়, ত্বকের ব্রণের মতোই গোটা উঠছে? ছবি: সংগৃহীত।
শুধু শীতকালে নয়, সারা বছরই ত্বক থেকে ছাল ওঠে। ত্বকে ব্রণের মতোই দানাযুক্ত গোটা উঠতে দেখা যায়। ত্বকে আর্দ্রতার অভাব হলে যে ভাবে ত্বক থেকে খোসা ওঠে, এটি ঠিক তেমন নয়। চিকিৎসা পরিভাষায় একে ‘স্কিন পিলিং’ বলা হয়।
‘স্কিন পিলিং’ হয় কেন?
ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, এটি অতিরিক্ত যত্নের ফল। অনেকেই উপকারের আশায় মাত্রাতিরিক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করেন। উদ্বৃত্ত সেই প্রসাধনী ত্বকের উপরিভাগে বা এপিডারমিস স্তরে জমতে থাকে। দিনের পর দিন রাসায়নিকযুক্ত এই প্রসাধনী জমতে জমতে ত্বকে ‘পিল’ অর্থাৎ ব্রণের মতোই দেখতে গোটা ওঠে। অতিরিক্ত প্রসাধনী শুকিয়ে গেলে ত্বক থেকে খোসার মতো উঠতে থাকে।
ত্বক থেকে ছাল ওঠে কেন?
১) ত্বকের ভাল হবে বলে যে যা মাখার পরামর্শ দিচ্ছেন, সবই প্রয়োগ করছেন। ত্বকের ‘এপিডারমিস’ স্তর কিন্তু এত অত্যাচার সহ্য করতে পারে না। উদ্বৃত্ত প্রসাধনী জমে ত্বকের উপর আলাদা করে একটি স্তর তৈরি করে। তা শুকিয়ে গেলে সেখান থেকে ছাল উঠতে পারে।
২) এমন অনেক প্রসাধনী রয়েছে, যেগুলি গুণগত দিক থেকে ভাল হলেও সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয়। এই কারণেও কিন্তু ত্বক থেকে ছাল উঠতে পারে।
৩) ব্যবহারের পদ্ধতি সঠিক না হলেও মুশকিল। কোনটির পর কোন প্রসাধনী মাখতে হয়, তা না জানলেও অনেক সময়ে হিতে বিপরীত হতে পারে।
এই সমস্যা থেকে মুক্তির উপায় আছে কি?
১) ত্বক থেকে ছাল ওঠার সমস্যা রোধ করতে হলে ত্বকচর্চার বিষয়টি যত সহজ করা যায় ততই ভাল। এ ক্ষেত্রে ‘সিটিএম’ বা ক্লিনজ়িং, টোনিং এবং ময়েশ্চারাইজ়িং করা আবশ্যিক। তার জন্য খুব বেশি প্রসাধনীর প্রয়োজন পড়ে না। এটুকু করলেই ত্বক ভাল থাকে।
২) প্রসাধনী কেনার ক্ষেত্রেও বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। কার ত্বকের ধরন কেমন এবং তার সঙ্গে কোন কোন প্রসাধনী উপযুক্ত, সে সম্পর্কে ভাল করে জেনে বা পড়াশোনা করে তার পর প্রসাধনী কিনতে হবে।
৩) প্রতিটি প্রসাধনী শোষণ করতে ত্বকের অন্তত মিনিট পাঁচেক সময় লাগে। তাই প্রতিটি প্রসাধনী মাখার ব্যবধান সম্পর্কেও অবহিত থাকা প্রয়োজন।
৪) ভাল ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজ়ার মানেই অনেকটা পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে, এমন কিন্তু নয়। কার ত্বকে কতটুকু প্রসাধনী মাখতে হবে, সে বিষয়েও সচেতন থাকা প্রয়োজন।
৫) প্রসাধনীর মেয়াদ পেরিয়ে যাচ্ছে কি না, সে দিকেও নজর রাখতে হবে। কারণ, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধনী ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।