ব্লিচ করালে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।
রোদে পোড়া দাগ, মুখের অবাঞ্ছিত রোমের গাঢ় রেখা হালকা করতে অনেকেই ব্লিচ করান। মুখে চটজলদি জেল্লা আনতে চাইলে ফেসিয়াল করানোর আগে ব্লিচ করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন সালোঁকর্মীরা। ঘন ঘন মুখে ব্লিচ করানো খারাপ জেনেও মুখের জেল্লা ফেরাতে সেই রাসায়নিক নির্ভর এই প্রসাধনীর শরণ নিতে হয়। আচ্ছা, নিয়মিত ব্লিচ করালে ত্বকে কী ধরনের ক্ষতি হয়?
ব্লিচ মাখার সঙ্গে সঙ্গেই ত্বকে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে?
১) ত্বকে অস্বস্তি হতে পারে। মুখ লাল হয়ে জ্বালা করতে পারে। ব্লিচের মধ্যে রয়েছে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড এবং অ্যামোনিয়ার মতো রাসায়নিক। যেগুলি ত্বকে প্রদাহজনিত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়।
২) ব্লিচ মাখার পর অনেকের ত্বকেই অ্যালার্জি জনিত সমস্যা দেখা দেয়। মুখে র্যাশ বেরোতে পারে। তাই ব্লিচ ব্যবহার করার আগে অবশ্যই প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া জরুরি।
৩) ত্বকের নিজস্ব তেল শুষে নিয়ে অতিরিক্ত শুষ্ক করে দেয় ব্লিচ। ত্বকের ময়েশ্চার ব্যারিয়ার নষ্ট করে। যে কারণে ত্বকে আর্দ্রতার অভাব দেখা দেয়।
ব্লিচ মাখার পর অনেকের ত্বকেই অ্যালার্জি জনিত সমস্যা দেখা দেয়। ছবি: সংগৃহীত।
৪) মুখে নিয়মিত ব্লিচ করলে ত্বকে হাইপার পিগমেন্টেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। রোদে পোড়া কালচে দাগ-ছোপ সাময়িক ভাবে তুলে দিলেও ব্লিচের মধ্যে থাকা রাসায়নিক মেলানিনের উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে।
৫) ত্বকে অতিরিক্ত রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে এক ধরনের বার্ন বা ক্ষত তৈরি হয়। মুখ থেকে ছাল উঠতে শুরু করে। এই ধরনের ক্ষত কিন্তু সহজে সারে না। কারও কারও ক্ষেত্রে মুখে এই পুড়ে যাওয়ার দাগ চিরস্থায়ী হয়ে যেতে পারে।