অভিনেত্রী জয়া আহসান। ছবি: সংগৃহীত
বয়স ৪০-এর কোঠা পেরোতেই শুধু শরীরে নয়, বদল আসে ত্বকেও। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের স্বাভাবিক জেল্লা কমতে শুরু করে, সে কথা ঠিক। তবে পর্যাপ্ত যত্ন নিলে যে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখা যায় না, তা নয়। নিয়ম আর সঠিক খাদ্যাভ্যাসে নিজেকে বাঁধলে বেশি বয়সেও মাধুরী কিংবা রেখার মতো পেলব, মসৃণ ত্বক ধরে রাখা সম্ভব। বাজারচলতি প্রসাধনী ব্যবহার করলেই যে ত্বক ভাল রাখা সম্ভব হয়, তা একেবারেই নয়। বরং খাদ্যাভ্যাসে বদল আনলে ভাল থাকে ত্বক। একমত পুষ্টিবিদ অর্পিতা ঘোষ দেব। পুষ্টিবিদের কথায়, ‘‘বাইরের খাবার খাওয়ার অভ্যাস আর পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খাওয়ার ফলে ত্বক সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই বয়স বাড়লে ত্বক ভাল রাখতে চাইলে তার প্রস্তুতি নিতে হবে আগে থেকেই। প্রসাধনী ত্বকের বাহ্যিক গঠনে বদল আনে। কিন্তু প্রকৃত জেল্লা চাইলে ত্বকের যত্ন নিতে হবে ভিতর থেকে। প্রোটিন, ভিটামিন, ফাইবার পরিমাণ মতো খেতে হবে। প্রতি দিন একটা থেকে দু’টো ফল খেলে ভাল। সেই সঙ্গে মরসুমি সব্জি বেশি করে খেতে হবে। খাদ্যাভ্যাসের উপর নির্ভর করছে ৪০-এর পর কেমন থাকবে ত্বক।’’ ৪০ মানেই প্রৌঢ়ত্বের দিকে এগোনো। তাই ত্বকের যত্নে কোনও খামতি রাখা যাবে না। কোন খাবারগুলি এই বয়সে ত্বকে জেল্লা ধরে রাখে?
মাধুরী দীক্ষিত। ছবি: সংগৃহীত
প্রোটিনযুক্ত খাবার
ত্বক ভাল রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। প্রোটিন ত্বকের প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত কোষ সারিয়ে তোলে। শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাবে ত্বক নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
ওমেগা ৩
ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখার অন্যতম উপায় হল ওমেগা ৩ বেশি করে খাওয়া। এই উপাদান ত্বকের রক্ত চলাচল ভাল রাখে। সহজে র্যাশ, ব্রণ হতে দেয় না। ত্বকের উপকারী পুষ্টি কোলাজেন উৎপাদনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
ফল এবং শাকসব্জি
ত্বকের যত্ন নিতে ফল এবং পরিমাণ মতো সব্জি খাওয়া জরুরি। এর সত্যিই কোনও বিকল্প নেই। ফল এবং নানা রকম শাকসব্জিতে স্বাস্থ্যকর উপাদান ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তাই রোজের পাতে যদি সব্জি রাখা যায়, তা হলে ত্বক ভাল থাকতে বাধ্য।