রোজ চুল আঁচড়ান কি ছবি: সংগৃহীত
অন্ধকার বিদিশার নিশার মতো চুল পেতে সাধ হয় অনেকেরই। কিন্তু আলুলায়িত চুল পেতে মাথা চুলকে কুল পান না অনেকেই, খুঁজে মরেন হরেক রকমের প্রসাধনী। কিন্তু জানেন কি চুলের বহু সমস্যার সমাধানে চাবিকাঠি হতে পারে চিরুনি? অনেকেই ভাবেন নিয়মিত চুল আঁচড়ালে নাকি চুল পড়া বেড়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু নস্যাৎ করে দিচ্ছেন এই দাবি। বরং বলছেন, নিয়মিত আঁচড়ালে ভাল থাকে চুল।
প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
১। রক্ত সঞ্চালন
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত চুল আঁচড়ালে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধির ফলে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি পায় চুলের গোড়ায়। পাশাপাশি চুলের গোড়ায় সহজে পৌঁছায় একাধিক পুষ্টি উপাদান। এতে চুলের গোড়া মজবুত হয় ও মাথার ত্বক ভাল থাকে।
২। বিভিন্ন গ্রন্থির ক্ষরণ
মাথার ত্বকে একাধিক গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থিগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিবেসিয়াস গ্রন্থি। এই গ্রন্থি থেকে সিবাম ক্ষরণ হয়, এই সিবাম প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। নিয়মিত চুল আঁচড়ালে সিবামের ক্ষরণ ও বন্টন সুষম হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রাকৃতিক তৈলাক্ত উপাদানগুলিও অনেক সহজে পৌঁছয় চুলের গোড়ায়। এতে মাথার ত্বকে অম্লত্বের ভারসাম্য বজায় থাকে।
৩। পরিছন্নতা
চুল পরিছন্ন রাখতেও সহায়তা করে নিয়মিত চুল আঁচড়ানো। মাথার ত্বকে সঞ্চিত মৃত কোষ, খুশকি, চুলের ফাটা অংশ ও বিভিন্ন ধরনের বাহ্যিক বর্জ্য পদার্থ সাফ করতেও নিয়মিত চুল আঁচড়ানোর বিকল্প নেই। সূক্ষ্ম দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করলে বার হতে পারে উকুনও। মাথার ত্বকের গহ্বরগুলির মুখ পরিচ্ছন্ন থাকলে স্বাস্থ্যকর থাকে চুল।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন সুফল পেতে প্লাস্টিকের চিরুনির বদলে কাঠের চিরুনি ব্যবহার করা ভাল। এতে চুল ভাঙে কম। পাশাপাশি গোড়া থেকে চুল না আঁচড়ে আগা থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে গোড়ার দিকে পৌঁছান। তা ছাড়া ভেজা অবস্থায় চুল পড়া ও ডগা ভাঙার আশঙ্কা বেড়ে যায়। কাজেই চুল আঁচড়ানোর আগে চুল শুকিয়ে নেওয়াই বাঞ্ছনীয়।