নুুনের গুণেই লাবণ্য ফিরবে? ছবি: সংগৃহীত।
স্বাদমতো নুন ছাড়া, যে কোনও খাবারই বিস্বাদ ঠেকে। কিন্তু রান্নায় ব্যবহৃত সেই নুন দিয়েই ত্বকের চর্চা হবে!
সৈন্ধব লবণ। রকমারি খনিজে পরিপূর্ণ এই নুন খাদ্যে ব্যবহার করতে বলেন পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকরা। তার কারণ, বাজারচলতি সাদা নুনের চেয়ে এর পুষ্টিগুণ বেশি। সেই সৈন্ধব লবণই এখন ব্যবহার হচ্ছে ত্বকের যত্নে, মুখে লালিত্য ফেরাতে।
কিন্তু কী ভাবে?
সৌন্দর্য নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন তাঁরাই বলছেন, ১ চা চামচের চার ভাগের এক ভাগ সৈন্ধব লবণ তামার পাত্রে রাতভর ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই জল দিয়ে মুখ ধুলেই লাবণ্য ফিরবে। ত্বক হয়ে উঠবে উজ্জ্বল। সপ্তাহে মাত্র এক দিন ব্যবহার করলেও রুক্ষ, শুষ্ক ত্বকে প্রাণ ফিরবে।
কিন্তু এ কি জাদু! সত্যি কি সম্ভব? ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, সৈন্ধব লবণ মেশানো এই জলকে বলা হয় ‘সো-লে’। এতে থাকে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম, আয়রন-সহ নানাবিধ খনিজ। খনিজ মিশ্রিত এই জল ত্বকের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। এই জল কতটা কার্যকরী?
নুনের গুণে ত্বকের যত্ন
১. সৈন্ধব লবণ শুধু ত্বকে লেগে থাকা তেল, ময়লা, ধুলো পরিষ্কার করে না, শরীর থেকে টক্সিন বার করতেও কাজ করে। নুনের গুণে ব্যাক্টিরিয়া, জীবাণু দূরে থাকে। ছোটখাটো সংক্রমণও ঠেকিয়ে রাখার ক্ষমতা রাখে এই নুন-জল।
২. নুনের দানা ত্বকের মৃত কোষ সরাতে সাহায্য করে। এটি অত্যন্ত ভাল প্রাকৃতিক স্ক্রাব। মৃত কোষ সরলেই ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বৃদ্ধি পাবে।
৩. ত্বকে পিএইচের মাত্রা বজায় রাখতেও সাহায্য করে নুন জল। এই মাত্রা ঠিক থাকলে ত্বক হবে ঝকঝকে, কোমল।
৪. ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে সৈন্ধব লবণ মিশ্রিত জল। এতে থাকা সোডিয়াম ক্লোরাইড, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামে সমৃদ্ধ জল যেমন ত্বক থেকে দূষিত উপাদান বার করতে সাহায্য করে তেমনই ত্বককে আর্দ্রতা জোগায়, পিএইচের ভারসাম্য বজায় রাখে।