ত্বকের যত্ন নিতে চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায় কয়েকটি বাদামের উপর। ছবি: সংগৃহীত।
ত্বকে নামী-দামি প্রসাধনী ব্যবহার করেও যখন কোনও আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না, অনেকেই বিরক্ত হয়ে প়ড়েন। ত্বকের খেয়াল রাখতে পরিশ্রমের শেষ রাখেন না কেউই। বিভিন্ন বিজ্ঞাপন এবং বন্ধুর পরামর্শে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে প্রসাধনী কেনেন। তার পর অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সেগুলি ব্যবহারও করেন। তাতে আগের চেয়ে যে খুব ফারাক দেখা যায়, তা নয়। বাজারচলতি প্রসাধনীর উপর ভরসা রাখলে যে মনের মতো সুফল মিলবে, তেমন নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। তবে চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায় কয়েকটি বাদামের উপর। যেগুলি একসঙ্গেই যত্ন নেয় শরীর এবং ত্বকের।
কাঠবাদাম
শরীরের খেয়াল তো রাখেই। সেই সঙ্গে এই বাদাম যত্ন নেয় ত্বকেরও। প্রোটিন, ভিটামিন ই, ফাইবারে সমৃদ্ধ কাঠবাদাম ত্বকের সজীবতা বজায় রাখে। রক্ত চলাচল ঠিক রাখে। ফলে ত্বকে টান টান ভাব বজায় থাকে। জেল্লা ধরে রাখতে ত্বকে চাই পর্যাপ্ত আর্দ্রতা, কাঠবাদাম ত্বকে জলের পরিমাণ পর্যাপ্ত রাখে। ফলে ব্রণ, কালো দাগছোপের সমস্যা কাছে ঘেঁষতে পারে না।
কাজু
পায়েস, পোলাও কিংবা শেষপাতে চাটনি, কাজুবাদাম ছাড়া এই খাবারগুলি অসম্পূর্ণ। কাজুতে রয়েছে ভিটামিন ই, সেলেনিয়ামের মতো উপাদান, যা ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। ত্বকের প্রদাহজনিত সমস্যা দূরে থাকে। সেই সঙ্গে ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলি মেরামতির কাজেও সাহায্য করে কাজু বাদাম।
পেস্তা
ওজন হাতের মুঠোয় রাখতে পেস্তা খুবই উপকারী। তবে ত্বক ভাল রাখতেও এর ভূমিকা কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। পেস্তায় রয়েছে ভাল কোলেস্টেরল, যা হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমায়। সেই সঙ্গে পেস্তায় থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ব্রণর প্রতিরোধ করে। হরমোনের মাত্রা ওঠানামা করলে ত্বকেও তার প্রভাব। পেস্তা হরমোনের সমতা বজায় রাখে।