ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে হলে প্রথমেই তার কারণ জানা দরকার। প্রতীকী ছবি।
গরম পড়তেই প্যাচপেচে গামের সমস্যা নাজেহাল হতে হয় অনেককেই। কারও ঘাম বেশি হয় কারও আবার কম হয়। তবে ঘাম আটকানোর কোনও উপায় নেই। উচিতও নয়। আমাদের শরীর অতিরিক্ত জল এবং কিছু খনিজ পদার্থ ঘাম হিসাবে বার করে দেয়। এই ঘাম কিন্তু আসলে গন্ধবিহীন। ত্বকের উপরের স্তরে পৌঁছনোর পর বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে মেশার ফলেই ঘামে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়।
ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে হলে প্রথমেই তার কারণ জানা দরকার। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবের কারণে ঘামে দুর্গন্ধ আবার শারীরিক অসুস্থতার কারণেও ঘামে গন্ধ হতে পারে। ডিয়োডোর্যান্ট কিংবা পারফিউম হচ্ছে ঘামের গন্ধ তাড়ানোর সেরা উপায়। তবে পারফিউমের গন্ধ খুব বেশি ক্ষণ টেকে না। গরমের সময়ে গামের দুর্গন্ধ এড়িয়ে চলতে কী কী নিয়ম মেনে চলবেন?
১) বাহুমূল, স্তনের নীচে, কানের পিছনের অংশ, কোমর, হাঁটু ও কনুইয়ের ভাঁজ, হাতের তালু যে অংশে ঘাম বেশি জমে, এই অংশগুলি পরিষ্কার রাখা দরকার।
২) প্রতিদিন পরিষ্কার শুকনো অন্তর্বাস পরবেন। আধশুকনো বা অপরিষ্কার অন্তর্বাস কিন্তু ব্যাক্টেরিয়া বহন করে। যা ঘামে দুর্গন্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ।
৩) গরমে সিন্থেটিক কাপড় কিংবা গাঢ় রঙের পোশাক এড়িয়ে চলুন। সুতির হালকা রঙের পোশাক পরুন। ঘাম হলেও এমন পোশাকে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।
৪) রোজের পোশাক রোজ বাড়িতে এসে কাচতে দিন। ঘামে ভেজা পোশাক দ্বিতীয় বার না পরাই ভাল। একান্তই যদি পরতে হয়, তা হলে তা রোদে শুকিয়ে নিয়ে তবেই পরুন।
শরীরের অন্য কোনও জায়গায় না হলেও, অতিরিক্ত ঘামের কারণে বাহুমূলে দুর্গন্ধের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। প্রতীকী ছবি।
৫) গরমের দিনে স্নানের জলে পছন্দসই এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন। না হলে পাতিলেবুর রস এবং খানিকটা বেকিং সোডা মিশিয়ে স্নান করলেও উপকার পাবেন।
৬) শরীরের অন্য কোনও জায়গায় না হলেও, অতিরিক্ত ঘামের কারণে বাহুমূলে দুর্গন্ধের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। কারণটা সেই ব্যাক্টেরিয়া। বাহুমূলে নিয়মিত শেভ বা ওয়্যাক্স করলে ওই অংশে ব্যাক্টেরিয়া জমতে পারে না। ফলে দুর্গন্ধও হয় না। গরমের সময় বাহুমূল কেশহীন রাখাই ভাল।
৭) পাতিলেবুর রস শরীরের পিএইচ লেভেল কমিয়ে দেয়, ফলে ব্যাক্টেরিয়া তৈরি হতে পারে না। একটি লেবুকে দু’ভাগ করে তার একটি অংশ নিয়ে বগলের নীচে ঘষে ফেলুন। কিছু ক্ষণ অপেক্ষা করে স্নান সারুন। এটা রোজই করতে পারেন, যত দিন না গন্ধ দূর হচ্ছে।
৮) টম্যাটোর অ্যান্টিসেপটিক উপাদান ব্যাক্টেরিয়াকে মেরে ফেলে বলে ঘাম থেকে আর দুর্গন্ধ সৃষ্টি হতে পারে না। শরীরের যে যে অংশে ঘাম বেশি হয়, সেখানে টম্যাটো দিয়ে স্ক্রাব করলেও ভাল ফল পাবেন।
৯) খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন আনুন। গরমের সময়ে ভাজা খাবার, অতিরিক্ত তেল-মশলাদার খাবারও ঘামের গন্ধের কারণ হতে পারে।