অভিনেত্রী আলিয়া ভট্টও তাঁর নখ সাজিয়েছেন ‘নেকড নেল্স’এ। ছবি: সংগৃহীত।
একটা সময়ে নখে পোশাকের সঙ্গে মানানসই নেলপলিশ পরার চল ছিল। যুগের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমে তা বদলে গেল নখের কারুকাজে। সঙ্গে আলাদা করে নখের যত্নে ‘ফ্রেঞ্চ ম্যানিকিয়োর’ও যোগ হল। নিজের নখের মান ভাল না হলে নখ বাড়াতে গিয়ে ভেঙে গেলে নিজের নখের উপর কৃত্রিম নখ বসিয়ে নেওয়ার হুজুগ ছিল বেশ কিছু দিন আগে পর্যন্ত। তবে ‘ব্লু লাইট’-এর তলায় আঙুল রেখে ‘নেল আর্ট’ করতে অনেকেই ভয় পান। ত্বকের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে সমাজমাধ্যমে প্রভাবী অনেকেই বলছেন, ইদানীং ‘নো মেকআপ লুক’-এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে ‘নেকেড নেল্স’-এর চল হয়েছে। খরচ করে এখন নখ রংহীন রখায় মন দিয়েছে তরুণ প্রজন্ম।
কী এই ‘নেকেড নেল্স’?
প্রায় নখের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে নেলপলিশ পরা সঙ্গে ম্যানিকিয়োরই বিশেষ এই ‘নেকেড নেল্স’-এর বৈশিষ্ট্য। তবে এর মধ্যেও বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে।
১) নেলপলিশ না লাগানো
ম্যানিকিয়োর করা নখে নেলপলিশ না পরার সুযোগ রয়েছে। নখের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে উপর থেকে স্বচ্ছ একটি কোট নখের উপর করা যেতে পারে। কিউটিকলের সমস্যা থাকলে কাঠবাদামের তেলও দেওয়া হয় নখে।
২) হালকা রঙের নেলপলিশ
নখের স্বাস্থ্য ভাল না হলে সকলের সামনে হাত বার করতে খারাপ লাগতে পারে। তাই এ ক্ষেত্রে হালকা রঙের নেলপলিশ পরতে পছন্দ করেন অনেকে। নখ ফাইলিং, ট্রিমিং করার পর প্রায় স্বচ্ছ বা ত্বকের রঙের নেলপলিশ পরা যেতে পারে।
৩) ত্বকের রঙের সঙ্গে মানানসই অভ্র দেওয়া নেলপলিশ
অনেকেই চান নেলপলিশ পরলে যেন একটু বোঝা যায়। তাই প্রায় স্বচ্ছ নেলপলিশ সামান্য একটু চকচক করলে ক্ষতি নেই। সে ক্ষেত্রে ‘শিয়ার নিউট্রাল’ গোত্রের পলিশ বেছে নেওয়াই যায়।