(বাঁ দিকে) হুমা কুরেশি, ভূমি পেডনেকর (ডান দিকে) । ছবি: সংগৃহীত।
বর্ষাকাল মানেই রাস্তাঘাট জুড়ে প্যাচপেচে কাদা। একান্ত দরকার না পড়লে এই আবহাওয়ায় অনেকেই বাইরে বেরোতে চান না। তা ছাড়া বৃষ্টিবাদলার দিনে আলমারি থেকে পছন্দের পোশাক বার করে পরতেও ইচ্ছে করে না। বাইরে যা বার করা থাকে, সেখান থেকেই একটা পরে নেন অনেকেই। বর্ষাকালে কোথাও যাওয়ার আগে পোশাক বাছাই করা নিয়ে মাথা ঘামান কম জনেই। প্রতিটি ঋতুর আলাদা রূপ আছে। বর্ষায় জল-কাদা হয় ঠিকই, পছন্দের পোশাক পরলে নষ্ট হয়ে যেতে পারে ভেবে অনেকেই তাই এড়িয়ে চলেন। নতুন পোশাক তো নৈব নৈব চ। শুধু জমা জল, যখন-তখন বৃষ্টি আর কাদা আছে বলে বর্ষার সাজ তো গড়পড়তা হতে পারে না। মেঘলা দিনেও নিজেকে কী ভাবে সুন্দর করে তুলবেন, রইল তার পরামর্শ।
১) বর্ষায় সারা দিনই আকাশের মুখভার। তাই এমন আবহাওয়ায় সব সময়ে চেষ্টা করুন উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরতে। দিনে হোক কিংবা রাতে, পোশাকের রঙে যেন জৌলুস থাকে। উজ্জ্বল রঙে সাজলে মনখারাপও কেটে যাবে।
২) অনেকেই আছেন বেশি রঙিন জামাকাপড় পরতে ভালবাসেন না। সে ক্ষেত্রে পোশাক যদি হালকা রঙের থাকে, তা হলে গলায় একটা মানানসই হার পরতে পারেন। তবে সব ধরনের পোশাকের সঙ্গে হার ভাল লাগবে না। সালোয়ার, লং স্কার্ট, কুর্তির সঙ্গে মানাবে।
৩) এই বর্ষায় চেষ্টা করুন সুতির পোশাক কম পরার। সুতি গায়ের সঙ্গে একেবারে লেপ্টে থাকে। বৃষ্টিতে ভিজে গেলে গায়ের সঙ্গে একেবারে মিশে যায়। তার চেয়ে এই মরসুমে সিল্ক, শিফন পরতে পারেন। সুতি ছাড়াও ক্রেপ, অরগ্যাঞ্জাও এড়িয়ে চললে ভাল।
৪) বর্ষায় সালোয়ার কিংবা কুর্তা পরতে না চাইলে হাঁটু ঝুল ওয়ান পিস পরতে পারেন। বৃষ্টিতে বরং সুবিধাই হবে। রাস্তায় জল জমলেও ট্রাউজার্স ভিজে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
৫) বর্ষা হল নিয়ন রঙের জামা পরার সেরা সময়। বৃষ্টিতে উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরলে দেখতে ভাল লাগে। তবে মাথা থেকে পা পর্যন্ত যেন শুধু উজ্জ্বল রঙের ছোঁয়া না থাকে। হালকা রঙের পোশাক পরলে ব্যাগ কিংবা জুতো যেন উজ্জ্বল হয়।